হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন? জেনে নিন প্রাথমিক চিকিত্সা

হার্ট অ্যাটাক কি

হার্ট অ্যাটাক হল হৃদপিণ্ডের পেশীতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে হঠাৎ ব্যথা এবং অস্বস্তি। এটি একটি জরুরী অবস্থা যা অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন।

হার্ট অ্যাটাকের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • বুকে ব্যথা, চাপ বা অস্বস্তি, প্রায়শই বুকের মাঝখানে
  • ব্যথা বা অস্বস্তি বুকের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যেমন বাম কাঁধ, বাহু, ঘাড়, চোয়াল বা পিঠে
  • শ্বাসকষ্ট
  • বমি বমি ভাব বা বমি
  • অজ্ঞান হওয়া

হার্ট অ্যাটাকের কারণ হল হৃদপিণ্ডের ধমনীতে একটি রক্ত ​​জমাট বাঁধা। এই জমাট রক্ত ​​হৃদপিণ্ডের পেশীতে রক্ত ​​প্রবাহকে বাধা দেয়, যার ফলে পেশী মারা যায়।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • উচ্চ রক্তচাপ
  • উচ্চ কোলেস্টেরল
  • ডায়াবেটিস
  • ধূমপান
  • অতিরিক্ত ওজন
  • অনিয়ন্ত্রিত থাইরয়েড
  • পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস

হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক চিকিত্সার লক্ষ্য হল:

  • রক্ত ​​প্রবাহ পুনঃস্থাপন করা
  • ব্যথা এবং অস্বস্তি কমানো
  • হার্টের ক্ষতি রোধ করা

হাসপাতালে, রোগীকে একটি ইসিজি, রক্ত ​​পরীক্ষা এবং অন্যান্য পরীক্ষা করা হবে। যদি হার্ট অ্যাটাক নিশ্চিত হয়, তাহলে রোগীকে রক্ত ​​জমাট বাঁধা রোধ করার জন্য ওষুধ দেওয়া হবে। কিছু ক্ষেত্রে, রক্ত ​​প্রবাহ পুনঃস্থাপন করতে সার্জারি বা অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা প্রয়োজন হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাকের পরে, রোগীকে নিয়মিত ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে। ডাক্তার রোগীর হার্টের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখবেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে, নিম্নলিখিতগুলি করতে পারেন:

  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন
  • ধূমপান ত্যাগ করুন
  • অতিরিক্ত ওজন কমাতে কাজ করুন
  • উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন

হার্ট অ্যাটাক হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া উচিত:

  1. যত তাড়াতাড়ি সম্ভব 911 বা স্থানীয় জরুরী পরিষেবাগুলিকে কল করুন।
  2. রোগীকে বিশ্রাম দিন এবং তাকে আরামদায়ক অবস্থানে রাখুন।
  3. রোগীকে অক্সিজেন দিন যদি প্রয়োজন হয়।
  4. রোগীর রক্তচাপ এবং নাড়ির হার পরীক্ষা করুন।
  5. রোগীকে জ্বর, বমি বা বমি বমি ভাব হলে ওষুধ দিন।

হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • অ্যাসপিরিন বা ক্লোপিডোগ্রেল, যা রক্ত ​​জমা হওয়া রোধে সাহায্য করে।
  • অ্যাসকলোভিয়ারিক অ্যাসিড, যা রক্ত ​​জমা হওয়া রোধে সাহায্য করে।
  • টাইলোসিন, যা ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।
  • মরফিন, যা ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।

হার্ট অ্যাটাকের পরে, রোগীকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত। হাসপাতালে, রোগীকে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসা দেওয়া হবে।

হার্ট অ্যাটাকের পরে রোগীকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নিতে হবে:

  • ডাক্তারের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • ধূমপান ত্যাগ করুন।
  • উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন।

হার্ট অ্যাটাকের পরে রোগীকে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। এই চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

  • ওষুধ: হার্ট অ্যাটাকের পরে রোগীদের প্রায়শই ওষুধের প্রয়োজন হয় যা রক্ত ​​জমা হওয়া রোধ করতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
  • সার্জারি: কিছু ক্ষেত্রে, হার্ট অ্যাটাকের পরে রোগীদের সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। সার্জারির ধরনগুলির মধ্যে রয়েছে:
    • করোনারি আর্টারি বায়পাস সার্জারি: এই ধরনের সার্জারিতে, একটি সুস্থ ধমনী বা শিরা হার্টের চারপাশের একটি বাধাযুক্ত ধমনী বা শিরার সাথে সংযুক্ত করা হয়।
    • স্টেন্টিং: এই ধরনের সার্জারিতে, একটি ছোট জাল দিয়ে তৈরি একটি নল একটি বাধাযুক্ত ধমনীতে ঢোকানো হয়। নলটি রক্ত ​​প্রবাহকে পুনরায় চালু করতে সাহায্য করে।

হার্ট অ্যাটাক একটি গুরুতর অবস্থা যা জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। তবে, অবিলম্বে চিকিৎসার মাধ্যমে, হার্ট অ্যাটাকের পরে অনেক লোক একটি সুস্থ এবং সক্রিয় জীবনযাপন করতে পারে।

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:

  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান: স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে রক্ত ​​প্রবাহে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম রক্ত ​​প্রবাহকে উন্নত করে এবং হার্টকে শক্তিশালী করে তোলে। সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিট মাঝারি-তীব্রতার অ্যারোবিক কার্যকলাপ বা 75 মিনিট উচ্চ-তীব্রতার অ্যারোবিক কার্যকলাপ করার লক্ষ্য রাখুন।
  • ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান হার্ট অ্যাটাকের একটি প্রধান কারণ। ধূমপান বন্ধ করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
  • উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন: উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিস হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। এই অবস্থাগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করা যেতে পারে।
  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করা যেতে পারে।
  • মানসিক চাপ কমাতে পদক্ষেপ নিন: মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর কৌশলগুলি অনুশীলন করার চেষ্টা করুন।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা দিলে বাসায় যা করণীয়

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা দিলে প্রথমেই অবশ্যই 911 বা স্থানীয় জরুরী পরিষেবাগুলিকে কল করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা পেতে পারলে হার্ট অ্যাটাকের ক্ষতি কমানো সম্ভব।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা দিলে বাসায় যা করণীয়:

  • যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ৯১১ বা স্থানীয় জরুরী পরিষেবাগুলিকে কল করুন।
  • রোগীকে বিশ্রাম দিন এবং তাকে আরামদায়ক অবস্থানে রাখুন।
  • রোগীকে অক্সিজেন দিন যদি প্রয়োজন হয়।
  • রোগীর রক্তচাপ এবং নাড়ির হার পরীক্ষা করুন।
  • রোগীকে জ্বর, বমি বা বমি বমি ভাব হলে ওষুধ দিন।

হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • অ্যাসপিরিন বা ক্লোপিডোগ্রেল, যা রক্ত ​​জমা হওয়া রোধে সাহায্য করে।
  • অ্যাসকলোভিয়ারিক অ্যাসিড, যা রক্ত ​​জমা হওয়া রোধে সাহায্য করে।
  • টাইলোসিন, যা ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।
  • মরফিন, যা ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।

হার্ট অ্যাটাকের পরে, রোগীকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত। হাসপাতালে, রোগীকে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসা দেওয়া হবে।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি, যা কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট।
  • বমি বমি ভাব বা বমি।
  • মাথা ঘোরা বা অজ্ঞানতা।
  • ঘাম।
  • ক্লান্তি।

যদি আপনি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনওটি অনুভব করেন তবে অবিলম্বে জরুরি চিকিৎসা সাহায্য নিন।

হার্ট অ্যাটাকের ৮টি লক্ষণ

হার্ট অ্যাটাক একটি জরুরি চিকিৎসা অবস্থা যা হার্টের পেশীগুলিতে রক্ত ​​প্রবাহের অভাব দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি একটি মারাত্মক অবস্থা হতে পারে, তবে দ্রুত চিকিৎসা পেলে মৃত্যুর ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি: বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। ব্যথাটি বুকের মাঝখানে, বাম বা ডান দিকে, বা বুকের উপরে বা পিঠে অনুভূত হতে পারে। ব্যথাটি চাপ, চাপ, ভারীতা, বা ব্যথা হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে। ব্যথাটি কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট: হার্ট অ্যাটাকের সময়, হার্ট যথেষ্ট অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত ​​সরবরাহ করতে পারে না। এটি শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
  • বমি বমি ভাব বা বমি: হার্ট অ্যাটাকের সময়, পেটের পেশীগুলিও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। এটি বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
  • মাথা ঘোরা বা অজ্ঞানতা: হার্ট অ্যাটাকের সময়, মস্তিষ্কে রক্ত ​​প্রবাহ কমে যেতে পারে। এটি মাথা ঘোরা বা অজ্ঞানতা হতে পারে।
  • ঘাম: হার্ট অ্যাটাকের সময়, শরীর উত্তেজিত হতে পারে। এটি ঘাম হতে পারে।
  • ক্লান্তি: হার্ট অ্যাটাকের সময়, শরীর প্রচুর পরিমাণে শক্তি ব্যয় করে। এটি ক্লান্তিতে পরিণত হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলি পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে আলাদা হতে পারে। পুরুষদের মধ্যে, বুকে ব্যথা সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। মহিলাদের মধ্যে, বুকে ব্যথার পরিবর্তে শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।

যদি আপনি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনওটি অনুভব করেন তবে অবিলম্বে জরুরি চিকিৎসা সাহায্য নিন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা পেতে পারলে হার্ট অ্যাটাকের ক্ষতি কমানো সম্ভব।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে, একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে:

  • ধূমপান ত্যাগ করা: ধূমপান হার্ট অ্যাটাকের একটি প্রধান কারণ।
  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম রক্ত ​​প্রবাহকে উন্নত করতে এবং হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান: একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে। প্রচুর ফল, শাকসবজি এবং সম্পূর্ণ শস্য খান। স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট, লবণ এবং চিনির পরিমাণ সীমিত করুন।
  • নিয়মিত রক্ত ​​পরীক্ষা করুন: আপনার রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। এই মাত্রাগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।
  • মানসিক চাপ কমাতে পদক্ষেপ নিন: মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। যোগব্যায়াম, ধ্যান বা অন্যান্য চাপ-হ্রাসকারী কৌশলগুলি চেষ্টা করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *