শেয়ার কত প্রকার ও কী কী?

শেয়ার মূলত দুই প্রকার:

১. ইক্যুইটি শেয়ার:

  • কোম্পানির মালিকানার একটি অংশ প্রতিনিধিত্ব করে।
  • ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ লভ্যাংশ নিশ্চিত নয়।
  • লাভের অনুপাতে লভ্যাংশ।
  • কোম্পানির নীতি নির্ধারণে ভোটাধিকার।

২. অগ্রাধিকার শেয়ার:

  • নির্দিষ্ট লভ্যাংশের অধিকারী।
  • ঝুঁকি কম, কারণ লভ্যাংশ নিশ্চিত।
  • লাভের অনুপাতে লভ্যাংশ নয়।
  • কোম্পানির নীতি নির্ধারণে ভোটাধিকার নেই।

অগ্রাধিকার শেয়ারকে আবার আট শ্রেণীতে ভাগ করা যায়:

  • সঞ্চয়ী অগ্রাধিকার শেয়ার: বকেয়া লভ্যাংশ পরবর্তী বছরগুলিতে পরিশোধ করা হয়।
  • অ-সঞ্চয়ী অগ্রাধিকার শেয়ার: বকেয়া লভ্যাংশ পরবর্তী বছরগুলিতে পরিশোধ করা হয় না।
  • পরিবর্তনযোগ্য অগ্রাধিকার শেয়ার: নির্দিষ্ট শর্তাবলী পূরণ হলে ইক্যুইটি শেয়ারে রূপান্তর করা যায়।
  • অ-পরিবর্তনযোগ্য অগ্রাধিকার শেয়ার: ইক্যুইটি শেয়ারে রূপান্তর করা যায় না।
  • রেজিস্টার্ড অগ্রাধিকার শেয়ার: নির্দিষ্ট ব্যক্তির নামে নিবন্ধিত।
  • বেয়ারার অগ্রাধিকার শেয়ার: নির্দিষ্ট ব্যক্তির নামে নিবন্ধিত নয়।
  • কমুলেটেড অগ্রাধিকার শেয়ার: লভ্যাংশ বকেয়া থাকলে পরবর্তী বছরগুলিতে সুদসহ পরিশোধ করা হয়।
  • পার্টিকিপেটিং অগ্রাধিকার শেয়ার: নির্দিষ্ট শর্তাবলী পূরণ হলে ইক্যুইটি শেয়ারের লাভে অংশগ্রহণ করতে পারে।

শেয়ারের ধরন নির্ভর করে কোম্পানির নীতির উপর।

আরও তথ্যের জন্য:

১. সাধারন শেয়ার (Ordinary / Equity Share):

সাধারণ শেয়ার কোম্পানির মালিকানার অংশ প্রতিনিধিত্ব করে। যারা সাধারণ শেয়ার ধারণ করে তাদের শেয়ারহোল্ডার বলা হয়।

সাধারণ শেয়ারের বৈশিষ্ট্য:

  • মালিকানা: শেয়ারহোল্ডার কোম্পানির মালিকানার অংশীদার হন।
  • লাভ: শেয়ারহোল্ডার কোম্পানির লাভের অংশীদার হন।
  • লভ্যাংশ: শেয়ারহোল্ডার কোম্পানি কর্তৃক ঘোষিত লভ্যাংশ পান।
  • ঝুঁকি: সাধারণ শেয়ার ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ লভ্যাংশ নিশ্চিত নয়।
  • ভোটাধিকার: শেয়ারহোল্ডার কোম্পানির নীতি নির্ধারণে ভোটাধিকার পান।

সাধারণ শেয়ারের ধরন:

  • সঞ্চয়ী সাধারণ শেয়ার: বকেয়া লভ্যাংশ পরবর্তী বছরগুলিতে পরিশোধ করা হয়।
  • অ-সঞ্চয়ী সাধারণ শেয়ার: বকেয়া লভ্যাংশ পরবর্তী বছরগুলিতে পরিশোধ করা হয় না।
  • পরিবর্তনযোগ্য সাধারণ শেয়ার: নির্দিষ্ট শর্তাবলী পূরণ হলে অগ্রাধিকার শেয়ারে রূপান্তর করা যায়।
  • অ-পরিবর্তনযোগ্য সাধারণ শেয়ার: অগ্রাধিকার শেয়ারে রূপান্তর করা যায় না।

সাধারণ শেয়ারে বিনিয়োগ করার আগে ঝুঁকি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

আরও তথ্যের জন্য:

২. অগ্রাধিকার শেয়ার (Preference Share):

অগ্রাধিকার শেয়ার হলো এমন এক ধরনের শেয়ার যা সাধারণ শেয়ারের তুলনায় লভ্যাংশ ও সম্পদের দাবিতে অগ্রাধিকার পায়।

অগ্রাধিকার শেয়ারের বৈশিষ্ট্য:

  • লভ্যাংশ: অগ্রাধিকার শেয়ারহোল্ডার নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পান।
  • ঝুঁকি: অগ্রাধিকার শেয়ার সাধারণ শেয়ারের তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ।
  • ভোটাধিকার: অগ্রাধিকার শেয়ারহোল্ডার সাধারণত কোম্পানির নীতি নির্ধারণে ভোটাধিকার পান না।

অগ্রাধিকার শেয়ারের ধরন:

  • সঞ্চয়ী অগ্রাধিকার শেয়ার: বকেয়া লভ্যাংশ পরবর্তী বছরগুলিতে পরিশোধ করা হয়।
  • অ-সঞ্চয়ী অগ্রাধিকার শেয়ার: বকেয়া লভ্যাংশ পরবর্তী বছরগুলিতে পরিশোধ করা হয় না।
  • পরিবর্তনযোগ্য অগ্রাধিকার শেয়ার: নির্দিষ্ট শর্তাবলী পূরণ হলে ইক্যুইটি শেয়ারে রূপান্তর করা যায়।
  • অ-পরিবর্তনযোগ্য অগ্রাধিকার শেয়ার: ইক্যুইটি শেয়ারে রূপান্তর করা যায় না।
  • পুনরুদ্ধারযোগ্য অগ্রাধিকার শেয়ার: কোম্পানি নির্দিষ্ট সময়ের পর শেয়ারগুলো পুনরুদ্ধার করতে পারে।
  • অ-পুনরুদ্ধারযোগ্য অগ্রাধিকার শেয়ার: কোম্পানি শেয়ারগুলো পুনরুদ্ধার করতে পারে না।

অগ্রাধিকার শেয়ারে বিনিয়োগ করার আগে ঝুঁকি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

আরও তথ্যের জন্য:

অন্যান্য বিষয়:

  • শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার আগে আপনার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • শেয়ার বাজারে ঝুঁকি থাকে। বিনিয়োগ করার আগে আপনার আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার আগে একজন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী বা আর্থিক উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করা উচিত।

অন্যান্য শেয়ারঃ

উপরে উল্লেখিত সাধারণ ও অগ্রাধিকার শেয়ার ছাড়াও, আরও কিছু ধরণের শেয়ার রয়েছে।

১. ডিবেঞ্চার:

  • দীর্ঘমেয়াদী ঋণের দলিল।
  • কোন নির্দিষ্ট সম্পত্তির বিরুদ্ধে ঋণ।
  • নির্দিষ্ট হারে সুদ প্রদান করা হয়।
  • ঝুঁকি কম।

২. বন্ড:

  • দীর্ঘমেয়াদী ঋণের দলিল।
  • কোন নির্দিষ্ট সম্পত্তির বিরুদ্ধে ঋণ নয়।
  • নির্দিষ্ট হারে সুদ প্রদান করা হয়।
  • ঝুঁকি ডিবেঞ্চারের চেয়ে বেশি।

৩. রাইট শেয়ার:

  • বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের নতুন শেয়ার কেনার অধিকার।
  • কোম্পানি মূলধন বৃদ্ধির জন্য ইস্যু করে।
  • শেয়ারহোল্ডারদের অনুপাতে বরাদ্দ করা হয়।

৪. ওয়ারেন্ট:

  • ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট দামে শেয়ার কেনার অধিকার।
  • কোম্পানি অতিরিক্ত মূলধন সংগ্রহের জন্য ইস্যু করে।
  • শেয়ারের বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে কেনার অধিকার।

৫. স্টক অপশন:

  • ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট দামে শেয়ার কেনার বা বিক্রির অধিকার।
  • কর্মীদের বেতনের অংশ হিসেবে দেওয়া হয়।
  • শেয়ারের বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে কেনার অধিকার।

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার আগে শেয়ার সম্পর্কে ভালো করে জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

আরও তথ্যের জন্য:

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *