বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস
প্রতিষ্ঠা:
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) ১৯৯২ সালের ২০ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়।
উদ্দেশ্য:
বাংলাদেশের সর্বত্র জ্ঞানের আলো পৌঁছে দেওয়া এবং শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করাই বাউবির প্রধান উদ্দেশ্য।
কার্যক্রম:
- দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে বিভিন্ন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রাম অফার করে।
- সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্সও পরিচালনা করে।
- বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি आयोजित করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো:
- প্রধান ক্যাম্পাস: গাজীপুর, ঢাকা
- আঞ্চলিক কেন্দ্র: ৬টি
- স্থানীয় কেন্দ্র: ৮০ টি
- অধ্যয়ন কেন্দ্র: ১৫৫০ টি
শিক্ষার্থী সংখ্যা:
- বর্তমানে প্রায় ১০ লক্ষ শিক্ষার্থী বাউবিতে অধ্যয়নরত।
উল্লেখযোগ্য অর্জন:
- দেশের বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়
- দূরশিক্ষণে এশিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়
- বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
- আরও নতুন নতুন কোর্স চালু করা
- শিক্ষার মান আরও উন্নত করা
- দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে আরও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
উপাচার্যগণ
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণের তালিকা:
ক্রম | নাম | দায়িত্ব গ্রহণ | দায়িত্ব ত্যাগ |
---|---|---|---|
১ | অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার | ২০ অক্টোবর ১৯৯২ | ৩০ নভেম্বর ১৯৯৬ |
২ | অধ্যাপক ড. এ. এম. শামসুল আরেফিন | ১ ডিসেম্বর ১৯৯৬ | ৩০ নভেম্বর ২০০১ |
৩ | অধ্যাপক ড. এম. এ. ওয়াহিদ খান | ১ ডিসেম্বর ২০০১ | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ |
৪ | অধ্যাপক ড. সৈয়দ এনামুল হক | ১ ডিসেম্বর ২০০৬ | ৩০ নভেম্বর ২০১১ |
৫ | অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলী | ১ ডিসেম্বর ২০১১ | ৩০ নভেম্বর ২০১৬ |
৬ | অধ্যাপক ড. মজিদুর রহমান | ১ ডিসেম্বর ২০১৬ | ৩০ নভেম্বর ২০২১ |
৭ | অধ্যাপক ড. নাসির আহমেদ | ১ ডিসেম্বর ২০২১ | বর্তমান |
সূত্র:
- বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট: https://www.bou.ac.bd/
দ্রষ্টব্য:
- এই তালিকাটি ২০২3 সালের 15 মার্চ পর্যন্ত সঠিক।
- উপাচার্যদের দায়িত্ব গ্রহণ ও ত্যাগের তারিখগুলি পরিবর্তন হতে পারে।
স্কুল অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি
স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এসএসটি) বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) একটি অনুষদ। এটি ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে বিভিন্ন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রাম অফার করে।
এসএসটি-এর নিম্নলিখিত বিভাগ রয়েছে:
- কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল
- ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল
- মেকানিক্যাল প্রকৌশল
- গণিত
- পদার্থবিদ্যা
- রসায়ন
- জীববিজ্ঞান
- উদ্ভিদবিদ্যা
- প্রাণিবিদ্যা
- পরিসংখ্যান
এসএসটি-এর লক্ষ্য হল উচ্চ মানের শিক্ষা প্রদান করা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল তৈরি করা। অনুষদটি গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও সক্রিয়।
এসএসটি-এর কিছু উল্লেখযোগ্য অর্জন হল:
- এটি বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যা কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করে।
- এটি বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যা ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করে।
- এটি বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যা মেকানিক্যাল প্রকৌশলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করে।
এসএসটি-এর কিছু উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন ছাত্র হল:
-
- সৈয়দ মোস্তফা ফজল – বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার
- আহমেদ ফায়েক – বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
- শাহজাহান মিয়া – বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী