স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র – মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর এলাকা

তেলিয়াপাড়া রণকৌশল হল ১৯৭১ সালের ৪ঠা এপ্রিল সিলেটের তেলিয়াপাড়া চা বাগানে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে গৃহীত মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক রণকৌশল। এই বৈঠকে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উর্ধ্বতন ২৭ জন সেনা কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেছিলেন। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন মেজর খালেদ মোশাররফ।

তেলিয়াপাড়া রণকৌশলের মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি সুসংগঠিত ও পরিকল্পিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বৈঠকে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়েছিল:

• বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হবে। প্রতিটি সেক্টরের জন্য একজন সেক্টর কমান্ডার থাকবেন।
• প্রতিটি সেক্টরে মুক্তিবাহিনী গঠন করা হবে।
• প্রতিটি সেক্টরের জন্য একটি রণকৌশল প্রণয়ন করা হবে।
• মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।
• আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন আহ্বান জানানো হবে।

তেলিয়াপাড়া রণকৌশল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই রণকৌশলের ফলে মুক্তিবাহিনী একটি সুসংগঠিত ও পরিকল্পিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল। ফলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছিল।

তেলিয়াপাড়া রণকৌশলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক হল:

• বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করার ফলে মুক্তিবাহিনীর কার্যক্রমকে সুশৃঙ্খল ও কার্যকরভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয়েছিল।
• প্রতিটি সেক্টরে মুক্তিবাহিনী গঠনের ফলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছিল।
• প্রতিটি সেক্টরের জন্য একটি রণকৌশল প্রণয়নের ফলে মুক্তিবাহিনীর কার্যক্রমকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছিল।
• মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহের ব্যবস্থা করার ফলে মুক্তিবাহিনীর শক্তি ও ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
• আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন আহ্বান জানানোর ফলে মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিত তৈরি হয়েছিল।

তেলিয়াপাড়া রণকৌশলের ফলে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

নিয়মিত বাহিনী