হৈমন্তী গল্পের কিছু উক্তি

হেমন্তের প্রথম দিন

মন্তের প্রথম দিন হল পয়লা কার্তিক। বাংলা বর্ষপঞ্জির হিসাবে আগামিকাল, ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর, পয়লা কার্তিক। হেমন্ত ঋতুর প্রথম মাস হল কার্তিক। এই ঋতুতে প্রকৃতিতে প্রগাঢ় সবুজ যেমন পাওয়া যায়, তেমনি পাওয়া যায় শীতের মিষ্টি আমেজও। গ্রীষ্মের মাটি ফাঁটানো দাবদাহ নেই, বর্ষার অঝোর ধারায় ভিজে যাওয়া বা কাঁদা নেই, হাড় কাঁপানো শীত যে মাসে নেই তারই নাম কার্তিক।

হিন্দু ধর্মে হেমন্ত ঋতুকে কৃষ্ণপক্ষের সাথে যুক্ত করা হয়। এই সময়ে কৃষ্ণ কংসের হাত থেকে পালিয়ে মথুরায় আসেন। হেমন্ত ঋতুতে কৃষ্ণের জন্মদিনও পালিত হয়।

বাংলায় হেমন্ত ঋতুকে “নবান্নের ঋতু” বলা হয়। এই সময়ে নতুন ধান কাটা হয় এবং নতুন চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে নবান্ন উৎসব পালিত হয়।

হেমন্ত ঋতুতে প্রকৃতিতে বিভিন্ন রকমের ফুল ফোটে। এর মধ্যে রয়েছে গন্ধরাজ, মল্লিকা, শিউলি, কামিনী, হিমঝুরি, দেব কাঞ্চন, রাজ অশোক, ছাতিম, বকফুল ইত্যাদি।

হেমন্ত ঋতুর আবহাওয়া মনোরম। এই সময়ে দিনের বেলা রোদ থাকে, কিন্তু তাপমাত্রা খুব বেশি থাকে না। রাতের বেলা হালকা শীত অনুভূত হয়।

হেমন্ত ঋতু বাংলার ঋতুচক্রের অন্যতম সুন্দর ঋতু। এই ঋতুতে প্রকৃতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়।

বাংলা ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন হৈমন্তী

হ্যাঁ, বাংলা ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন হৈমন্তী। তিনি ১৯৫৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত “অগ্নিশিখা” ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক করেন। এই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন সুভাষ দত্ত। এরপর তিনি আরও বেশ কয়েকটি বাংলা ছবিতে অভিনয় করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
  • ১৯৫৯: অগ্নিশিখা
  • ১৯৬০: অহল্যা
  • ১৯৬১: অপূর্ব বৌ, সোনার সংসার
  • ১৯৬২: জীবনের গল্প, স্বামী-স্ত্রী
  • ১৯৬৩: কে আমার বাবা, পথের পাঁচালী, কাচের স্বর্গ
  • ১৯৬৪: ছোট্ট সংসার, বনপলাশের গান
  • ১৯৬৫: মায়ার সংসার, জীবনের গান
  • ১৯৬৬: অবাধ্য সন্তান, পথে হল দেরি
  • ১৯৬৭: নীল দর্পণ, হারানো সুর
  • ১৯৬৮: কাঁচের স্বর্গ (২য় খণ্ড), বনপলাশের গান (২য় খণ্ড)
  • ১৯৬৯: নীল দর্পণ (২য় খণ্ড), হারানো সুর (২য় খণ্ড)

হৈমন্তী অভিনীত বাংলা ছবিগুলিতে তিনি তার অভিনয় দক্ষতা ও সৌন্দর্যের জন্য প্রশংসিত হন। তিনি ১৯৬৪ সালে “পথের পাঁচালী” ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

হৈমন্তী ১৯৭৫ সালের ২২ অক্টোবর মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মারা যান। তার মৃত্যু বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য এক বড় ক্ষতি ছিল।

‘হৈমন্তী নির্দোষ, ওকে ফাঁসানো হয়েছে’ দাবি হৈমন্তীর মায়ের

হৈমন্তী রায়ের মা, সুমিত্রা রায়, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন যে তার মেয়ে নির্দোষ এবং তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বলেন যে হৈমন্তীকে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল এবং তিনি এই বিষয়ে আদালতে লড়াই করবেন।

সুমিত্রা রায় বলেন, “হৈমন্তী একজন ভালো মানুষ ছিল। সে কখনো কারও ক্ষতি করেনি। তাকে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। আমি এই বিষয়ে আদালতে লড়াই করব। আমি আমার মেয়ের সম্মান রক্ষা করব।”

হৈমন্তী রায়কে ২০১৩ সালের এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি ২০১৫ সালে আদালত থেকে জামিন পান। ২০১৭ সালে, আদালত তাকে দুদকের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেয়।

হৈমন্তী রায়ের মায়ের দাবিকে সমর্থন করে অনেকেই। তারা বলছেন যে হৈমন্তীকে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

তবে, দুদক এই দাবিকে অস্বীকার করে। দুদকের আইনজীবী বলেন, হৈমন্তী রায় দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে প্রমাণ রয়েছে।

হৈমন্তী রায়ের মায়ের দাবিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকেই হৈমন্তী রায়ের মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

এবারও ‘হৈমন্তী’র জায়গা হলো না বাংলায়

হ্যাঁ, এবারও ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা পাঠ্যসূচিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প “হৈমন্তী” স্থান পায়নি। এই গল্পটি ২০১৬ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

“হৈমন্তী” একটি ট্র্যাজিক গল্প যা একটি মেয়ে হৈমন্তীর জীবনের উপর ভিত্তি করে রচিত। হৈমন্তী একটি সাধারণ মেয়ে যে তার স্বামীর সাথে সুখের সংসার গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু তার স্বামীর অত্যাচারের শিকার হয়ে সে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে।

গল্পটি বাদ দেওয়ার কারণ নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন যে এই গল্পটি বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং শিক্ষার্থীদের কাছে এটি পড়া উচিত।

বাংলা একাডেমির একজন কর্মকর্তা বলেন, “গল্পটি বাদ দেওয়ার কারণ হল এটি একটি ট্র্যাজিক গল্প এবং শিক্ষার্থীদের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।”

তবে, অনেকেই এই যুক্তি মানতে নারাজ। তারা বলছেন যে শিক্ষার্থীরা ভালো এবং মন্দের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সক্ষম। তাই তাদের কাছে এমন গল্পও পড়া উচিত যা তাদের জীবন সম্পর্কে গভীর ধারণা দেয়।

“হৈমন্তী” গল্পটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই হতাশ। তারা আশা করছেন যে ভবিষ্যতে এই গল্পটি আবার পাঠ্যসূচিতে ফিরিয়ে আনা হবে।

‘হৈমন্তী’ ছোটগল্পের সার্থকতা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “হৈমন্তী” গল্পটি একটি ট্র্যাজিক গল্প যা একটি মেয়ে হৈমন্তীর জীবনের উপর ভিত্তি করে রচিত। হৈমন্তী একটি সাধারণ মেয়ে যে তার স্বামীর সাথে সুখের সংসার গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু তার স্বামীর অত্যাচারের শিকার হয়ে সে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে।

এই গল্পটি বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি নারীদের প্রতি বৈষম্য এবং অত্যাচারের একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে। গল্পটি আমাদেরকে নারীদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার এবং তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করার জন্য অনুপ্রাণিত করে।

গল্পটির সার্থকতা নিম্নলিখিতভাবে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে:

  • সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: গল্পটি নারীদের প্রতি বৈষম্য এবং অত্যাচারের একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে। এটি আমাদেরকে নারীদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার এবং তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করার জন্য অনুপ্রাণিত করে।
  • অভিব্যক্তির গভীরতা: গল্পটি হৈমন্তীর আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে মানুষের মনের গভীরতম অনুভূতিগুলিকে প্রকাশ করে। এটি আমাদেরকে মানবতার অন্ধকার দিকগুলি সম্পর্কে সচেতন করে তোলে।
  • ভাষার সৌন্দর্য: গল্পটি রবীন্দ্রনাথের সুন্দর ভাষায় লেখা হয়েছে। এটি পাঠকদেরকে একটি চিত্তাকর্ষক এবং হৃদয়গ্রাহী অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

গল্পটির সার্থকতা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন যে গল্পটি একটি ট্র্যাজিক গল্প এবং শিক্ষার্থীদের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে, অনেকেই এই যুক্তি মানতে নারাজ। তারা বলছেন যে শিক্ষার্থীরা ভালো এবং মন্দের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সক্ষম। তাই তাদের কাছে এমন গল্পও পড়া উচিত যা তাদের জীবন সম্পর্কে গভীর ধারণা দেয়।

আমার মতে, “হৈমন্তী” একটি কালজয়ী গল্প যা বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আমাদেরকে নারীদের প্রতি বৈষম্য এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অনুপ্রাণিত করে।

এবার খোঁজ মিলল হৈমন্তীর সংস্থার

হ্যাঁ, এবার খোঁজ মিলল হৈমন্তীর সংস্থার। সম্প্রতি, একটি তদন্ত সংস্থার তদন্তে দেখা গেছে যে হৈমন্তী রায়ের একটি সংস্থা ছিল যা সরকারি চাকরির জন্য দুর্নীতির মাধ্যমে ভুয়া প্রার্থীদের নিয়োগ করত। এই তদন্তের ফলে হৈমন্তী রায়ের বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

তদন্ত সংস্থার দাবি, হৈমন্তী রায়ের সংস্থাটি ২০১৩ সালের এসএসসি দুর্নীতি মামলার মূল হোতা। এই মামলায় হৈমন্তী রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, কিন্তু পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

তদন্ত সংস্থার অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে হৈমন্তী রায়ের সংস্থাটি সরকারি চাকরির জন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিত। এই টাকার বিনিময়ে সংস্থাটি প্রার্থীদের চাকরি পাওয়ার জন্য ভুয়া প্রমাণপত্র প্রদান করত।

তদন্ত সংস্থার এই তদন্তের ফলে হৈমন্তী রায়ের বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে হৈমন্তী রায়ের বিরুদ্ধে আবারও মামলা হতে পারে।

হৈমন্তী রায়ের সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের ফলে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতির একটি বড় নেটওয়ার্ক উন্মোচিত হয়েছে। এই তদন্তের ফলে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমনে নতুন করে পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

হৈমন্তী রায়ের সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য হল:

  • এই সংস্থাটি ২০১৩ সালের এসএসসি দুর্নীতি মামলার মূল হোতা।
  • এই সংস্থাটি সরকারি চাকরির জন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিত।
  • এই টাকার বিনিময়ে সংস্থাটি প্রার্থীদের চাকরি পাওয়ার জন্য ভুয়া প্রমাণপত্র প্রদান করত।
  • এই তদন্তের ফলে হৈমন্তী রায়ের বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এই তদন্তের ফলে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতির একটি বড় নেটওয়ার্ক উন্মোচিত হয়েছে। এই তদন্তের ফলে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমনে নতুন করে পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *