সেন্টমার্টিন দ্বীপ

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অপর নাম কী?

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অপর নাম নারিকেল জিঞ্জিরা। এই দ্বীপের প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরা বলা হয়। বাংলাদেশের সমুদ্রপ্রেমীদের কাছে এটি ব্যাপক পরিচিত একটি নাম।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এটি একটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ এবং এটি বাংলাদেশের সর্ব-দক্ষিণের ইউনিয়ন।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ যাওয়ার উপায়

সেন্টমার্টিন দ্বীপ যাওয়ার প্রধান দুইটি উপায় রয়েছে:

    • জাহাজে: ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে টেকনাফ গিয়ে সেখান থেকে জাহাজে/ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন যাওয়া সুবিধাজনক। কক্সবাজার ভ্রমণ পরিকল্পনায় থাকলে ঢাকা থেকে কক্সবাজার হয়ে তারপর টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন।
    • ট্রলারে: টেকনাফের জেটি ঘাট থেকে ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়। ট্রলারে যাওয়ার সময় লাগে প্রায় ১ ঘন্টা।

ঢাকা থেকে টেকনাফ যাওয়ার জন্য:

    • সরাসরি বাসে: ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য সরাসরি বাস রয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে বাস সেন্টমার্টিন যায়। ১০-১২ ঘণ্টার এ ভ্রমণে ভাড়া বাস ও ক্লাস অনুযায়ী সাধারণত ৯০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে।
    • বিমানে: ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিমানে যাওয়া যায়। কক্সবাজার থেকে টেকনাফের জন্য বাস বা টেক্সি পাওয়া যায়।

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য:

    • জাহাজে: টেকনাফের জেটি ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য বিভিন্ন জাহাজ রয়েছে। জাহাজের ভাড়া সাধারণত ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে।
    • ট্রলারে: টেকনাফের জেটি ঘাট থেকে ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়। ট্রলারের ভাড়া সাধারণত ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপে থাকার ব্যবস্থা:

সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিভিন্ন ধরনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। হোটেল, রিসোর্ট, কটেজ ইত্যাদি থেকে পছন্দমতো থাকার ব্যবস্থা করা যায়।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের সময়সূচী:

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের জন্য সাধারণত ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগে। প্রথম দিন টেকনাফ পৌঁছে হোটেলে চেক-ইন করে বিশ্রাম নেওয়া যায়। দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ঘুরে দেখা যায়। তৃতীয় দিন ছেড়াদ্বীপ ঘুরে দেখা যায়। চতুর্থ দিন সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ হয়ে ঢাকা ফিরে যাওয়া যায়।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের টিপস:

    • সেন্টমার্টিন দ্বীপের আবহাওয়া সাধারণত গরম এবং আর্দ্র থাকে। তাই হালকা রঙের আরামদায়ক পোশাক পরা ভালো।
    • সেন্টমার্টিন দ্বীপের সৈকতের বালি বেশ নরম। তাই সাঁতার কাটতে গেলে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
    • সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রবাল প্রাচীর খুবই সুন্দর। তাই প্রবাল প্রাচীরের ক্ষতি না করে সাঁতার কাটতে হবে।
    • সেন্টমার্টিন দ্বীপের সমুদ্রের জল বেশ গভীর। তাই সাঁতার না জানলে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
    • সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয়দের সাথে ভালো ব্যবহার করা উচিত।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার কাজে লাগবে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ কোন জেলায় অবস্থিত

সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ এবং এটি বাংলাদেশের সর্ব-দক্ষিণের ইউনিয়ন।

সেন্টমার্টিন দ্বীপটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার পূর্ব দিকে অবস্থিত। এটি মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৭ বর্গকিলোমিটার।

সেন্টমার্টিন দ্বীপটি তার সুন্দর সৈকত, প্রবাল প্রাচীর এবং নীল সমুদ্রের জন্য বিখ্যাত। এটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের সকল তথ্য

সেন্টমার্টিন দ্বীপের অবস্থান:

সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার পূর্ব দিকে অবস্থিত। এটি মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৭ বর্গকিলোমিটার।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান:

  • অক্ষাংশ: ২১°২২′ উত্তর
  • দ্রাঘিমাংশ: ৯২°১৫′ পূর্ব

সেন্টমার্টিন দ্বীপের আবহাওয়া:

সেন্টমার্টিন দ্বীপের আবহাওয়া সাধারণত গরম এবং আর্দ্র থাকে। গ্রীষ্মকালে (মার্চ-মে) তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। শীতকালে (ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি) তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের উপায়:

সেন্টমার্টিন দ্বীপ যাওয়ার প্রধান দুইটি উপায় রয়েছে:

    • জাহাজে: ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে টেকনাফ গিয়ে সেখান থেকে জাহাজে/ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন যাওয়া সুবিধাজনক। কক্সবাজার ভ্রমণ পরিকল্পনায় থাকলে ঢাকা থেকে কক্সবাজার হয়ে তারপর টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন।
    • ট্রলারে: টেকনাফের জেটি ঘাট থেকে ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়। ট্রলারে যাওয়ার সময় লাগে প্রায় ১ ঘন্টা।

ঢাকা থেকে টেকনাফ যাওয়ার জন্য:

    • সরাসরি বাসে: ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য সরাসরি বাস রয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে বাস সেন্টমার্টিন যায়। ১০-১২ ঘণ্টার এ ভ্রমণে ভাড়া বাস ও ক্লাস অনুযায়ী সাধারণত ৯০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে।
    • বিমানে: ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিমানে যাওয়া যায়। কক্সবাজার থেকে টেকনাফের জন্য বাস বা টেক্সি পাওয়া যায়।

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য:

    • জাহাজে: টেকনাফের জেটি ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য বিভিন্ন জাহাজ রয়েছে। জাহাজের ভাড়া সাধারণত ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে।
    • ট্রলারে: টেকনাফের জেটি ঘাট থেকে ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়। ট্রলারের ভাড়া সাধারণত ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপে থাকার ব্যবস্থা:

সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিভিন্ন ধরনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। হোটেল, রিসোর্ট, কটেজ ইত্যাদি থেকে পছন্দমতো থাকার ব্যবস্থা করা যায়।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের সময়সূচী:

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের জন্য সাধারণত ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগে। প্রথম দিন টেকনাফ পৌঁছে হোটেলে চেক-ইন করে বিশ্রাম নেওয়া যায়। দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ঘুরে দেখা যায়। তৃতীয় দিন ছেড়াদ্বীপ ঘুরে দেখা যায়। চতুর্থ দিন সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ হয়ে ঢাকা ফিরে যাওয়া যায়।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের টিপস:

    • **সেন্টমার্টিন দ্বীপের আবহাওয়া সাধারণত গরম এবং আর্দ্র থাকে। তাই হালকা রঙের আরামদায়ক পোশাক পরা ভালো।
  • **সেন্টমার্টিন দ্বীপের সৈকতের বালি বেশ নরম। তাই সাঁতার কাটতে গেলে সাবধানতা অব

সেন্টমার্টিন দ্বীপের দর্শনীয় স্থান

সেন্টমার্টিন দ্বীপ তার সুন্দর সৈকত, প্রবাল প্রাচীর এবং নীল সমুদ্রের জন্য বিখ্যাত। দ্বীপটিতে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হল:

  • বড় মাতার মসজিদ: সেন্টমার্টিন দ্বীপের সবচেয়ে বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান হল বড় মাতার মসজিদ। এটি বাংলাদেশের একমাত্র মসজিদ যেটি সমুদ্রের মাঝে অবস্থিত। মসজিদটি ১৭১৭ সালে নির্মিত হয়েছিল।
  • পূর্ব বিচ: সেন্টমার্টিন দ্বীপের সবচেয়ে জনপ্রিয় সৈকত হল পূর্ব বিচ। এটি একটি সুন্দর বালিয়াড়ি সৈকত যা সমুদ্রের জল দিয়ে ঘেরা। পূর্ব বিচে সাঁতার কাটা, সূর্যস্নান করা এবং সূর্যাস্ত দেখার জন্য পর্যটকরা ভিড় করেন।
  • পশ্চিম বিচ: পূর্ব বিচের মতোই পশ্চিম বিচও একটি সুন্দর বালিয়াড়ি সৈকত। এটি পূর্ব বিচের তুলনায় একটু কম জনপ্রিয়। পশ্চিম বিচে সাঁতার কাটা, সূর্যস্নান করা এবং প্রবাল প্রাচীর দেখার জন্য পর্যটকরা ভিড় করেন।
  • ছেড়াদ্বীপ: সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছেড়াদ্বীপ একটি ছোট দ্বীপ। এটি একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। ছেড়াদ্বীপে সাঁতার কাটা, সূর্যস্নান করা এবং প্রবাল প্রাচীর দেখার জন্য পর্যটকরা ভিড় করেন।
  • মাছের আড়ত: সেন্টমার্টিন দ্বীপের একটি আকর্ষণীয় স্থান হল মাছের আড়ত। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই আড়তে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয়।

এছাড়াও, সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেশ কিছু গুহা, মন্দির এবং ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে।

সেন্টমার্টিনের হোটেল এবং রিসোর্টের তথ্য

সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিভিন্ন ধরনের হোটেল এবং রিসোর্ট রয়েছে। হোটেলগুলি সাধারণত কম খরচে থাকার ব্যবস্থা করে থাকে, তবে রিসোর্টগুলিতে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।

সেন্টমার্টিনের কিছু জনপ্রিয় হোটেল হল:

  • হোটেল সী ইন: এটি একটি কম খরচে থাকার জন্য ভালো হোটেল। এটি পূর্ব বিচের কাছে অবস্থিত।

    Image of হোটেল সী ইন সেন্টমার্টিন
  • হোটেল সাগরবীন: এটি একটি আরামদায়ক হোটেল। এটি পূর্ব বিচের কাছে অবস্থিত।

  • হোটেল সেন্টমার্টিন ইন্টারন্যাশনাল: এটি একটি উচ্চমানের হোটেল। এটি পূর্ব বিচের কাছে অবস্থিত।

    Image of হোটেল সেন্টমার্টিন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টমার্টিন

সেন্টমার্টিনের কিছু জনপ্রিয় রিসোর্ট হল:

  • দ্বীপান্তর বিচ রিসোর্ট: এটি সেন্টমার্টিনের সবচেয়ে ভালো রিসোর্ট। এটি পূর্ব বিচের কাছে অবস্থিত।
    Image of দ্বীপান্তর বিচ রিসোর্ট সেন্টমার্টিন
  • এসকেডি রিসোর্ট: এটি একটি আরামদায়ক রিসোর্ট। এটি পশ্চিম বিচের কাছে অবস্থিত।
    Image of এসকেডি রিসোর্ট সেন্টমার্টিন
  • হ্যাভেন বিচ রিসোর্ট: এটি একটি উচ্চমানের রিসোর্ট। এটি পূর্ব বিচের কাছে অবস্থিত।

সেন্টমার্টিন দ্বীপে থাকার জন্য হোটেল বা রিসোর্ট বুক করার আগে, দাম, সুযোগ-সুবিধা এবং অবস্থান বিবেচনা করা উচিত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *