আপেল গাছ লাগানোর নিয়ম – আপেল চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি ও আবহাওয়া

আপেল গাছ লাগানোর নিয়ম  কি?

আপেল গাছ লাগানোর জন্য প্রথমে একটি উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করতে হবে। আপেল গাছ লাগানোর জন্য দোআঁশ বা এঁটেল মাটি সবচেয়ে ভালো। মাটির পিএইচ ৫.৮ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে হওয়া উচিত। আপেল গাছ রোদ পছন্দ করে, তাই গাছ লাগানোর জন্য একটি উজ্জ্বল রোদময় জায়গা নির্বাচন করতে হবে।

আপেল গাছ লাগানোর জন্য চারা নির্বাচন করাও গুরুত্বপূর্ণ। চারাটি অবশ্যই সুস্থ এবং সবল হতে হবে। চারাটির শিকড়গুলি ভালভাবে বিকাশিত হওয়া উচিত।

আপেল গাছ লাগানোর জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন:

  1. প্রথমে মাটি ভালোভাবে চাষ করে নিন। মাটিতে জৈব সার মিশিয়ে নিন।
  2. চারাটি লাগানোর গর্তটি ৬০x৬০x৬০ সেমি আকারের হতে হবে।
  3. গর্তের মাঝখানে চারাটি বসিয়ে দিন।
  4. চারাটি ভালোভাবে জল দিয়ে দিন।
  5. চারাটি চারপাশে মাটি দিয়ে ভরাট করে দিন।
  6. চারাটিকে বাঁশ বা খুঁটি দিয়ে বেঁধে দিন।

আপেল গাছ লাগানোর পর যত্ন নিতে হবে। গাছের গোড়ায় মাঝে মাঝে জল দিন। গাছের গোড়ায় আগাছা পরিষ্কার রাখুন। গাছটিকে নিয়মিত সার দিন।

আপেল গাছ লাগানোর জন্য কিছু টিপস:

  • আপেল গাছ লাগানোর জন্য বসন্ত বা শরৎকাল সবচেয়ে ভালো সময়।
  • আপেল গাছ লাগানোর আগে চারাটিকে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
  • চারাটি লাগানোর পর প্রথম কয়েক দিন প্রতিদিন জল দিন।
  • গাছের গোড়ায় মাটিতে গোবর বা কম্পোস্ট মিশিয়ে দিন।
  • গাছের গোড়ায় আগাছা পরিষ্কার রাখুন।
  • গাছটিকে নিয়মিত সার দিন।

আপেল গাছ লাগানোর পর ৫-৬ বছরের মধ্যে গাছ ফল ধরতে শুরু করবে।

আপেল চাষ করতে কী ধরণের মাটি প্রয়োজন

আপেল চাষ করতে দোআঁশ বা এঁটেল মাটি সবচেয়ে ভালো। এ ধরনের মাটিতে জল নিষ্কাশন ভালো হয় এবং মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব পদার্থ থাকে। আপেল গাছ রোদ পছন্দ করে, তাই গাছ লাগানোর জন্য একটি উজ্জ্বল রোদময় জায়গা নির্বাচন করতে হবে।

আপেল গাছের জন্য মাটির পিএইচ ৫.৮ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে হওয়া উচিত। যদি মাটির পিএইচ কম হয় তবে মাটিতে চুন মিশিয়ে পিএইচ বাড়ানো যেতে পারে। যদি মাটির পিএইচ বেশি হয় তবে মাটিতে সালফিউরিক এসিড মিশিয়ে পিএইচ কমানো যেতে পারে।

আপেল গাছ লাগানোর আগে মাটি ভালোভাবে চাষ করে নিন। মাটিতে জৈব সার মিশিয়ে নিন। মাটিতে জৈব সার মিশিয়ে দিলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় এবং মাটিতে জল ধরে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

আপেল গাছ লাগানোর জন্য গর্তটি ৬০x৬০x৬০ সেমি আকারের হতে হবে। গর্তের মাঝখানে চারাটি বসিয়ে দিন। চারাটি ভালোভাবে জল দিয়ে দিন। চারাটি চারপাশে মাটি দিয়ে ভরাট করে দিন। চারাটি বাঁশ বা খুঁটি দিয়ে বেঁধে দিন।

আপেল গাছ লাগানোর পর যত্ন নিতে হবে। গাছের গোড়ায় মাঝে মাঝে জল দিন। গাছের গোড়ায় আগাছা পরিষ্কার রাখুন। গাছটিকে নিয়মিত সার দিন।

আপেল গাছ লাগানোর পর ৫-৬ বছরের মধ্যে গাছ ফল ধরতে শুরু করবে।

আপেল গাছের জন্য উপযুক্ত মাটির কিছু বৈশিষ্ট্য হল:

  • মাটির জল নিষ্কাশন ভালো হওয়া উচিত।
  • মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব পদার্থ থাকা উচিত।
  • মাটির পিএইচ ৫.৮ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে হওয়া উচিত।

আপেল গাছ লাগানোর আগে মাটির গুণমান পরীক্ষা করে নিতে হবে। মাটির গুণমান পরীক্ষা করার জন্য স্থানীয় কৃষি অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

আপেলের বীজ থেকে চারা উৎপাদন

আপেল বীজ থেকে চারা উৎপাদন করা একটি সহজ প্রক্রিয়া। তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে আপেল গাছের বীজ থেকে উৎপাদিত চারাগুলি প্রায়শই মাতৃ গাছের অনুরূপ বৈশিষ্ট্যগুলি উত্তরাধিকার সূত্রে পায় না। এর মানে হল যে চারাটি ফল ধরতে পারে, তবে ফলগুলি মাতৃ গাছের ফলের মতো নয় হতে পারে।

আপেলের বীজ থেকে চারা উৎপাদনের জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন:

  1. বীজ সংগ্রহ: আপেল ফল থেকে সম্পূর্ণ বীজ সংগ্রহ করুন।
  2. বীজ শুকানো: বীজগুলি ছায়ায় শুকিয়ে নিন।
  3. বীজ বপন: শুকনো বীজগুলি বীজতলায় বপন করুন।
  4. বীজতলায় যত্ন: বীজতলায় মাঝে মাঝে জল দিন এবং আগাছা পরিষ্কার রাখুন।
  5. চারা রোপণ: চারাগুলি ৪-৬ ইঞ্চি লম্বা হলে সেগুলি মূল জমিতে রোপণ করুন।

আপেলের বীজ থেকে চারা উৎপাদনের জন্য কিছু টিপস:

  • বীজ সংগ্রহের জন্য পরিপক্ব আপেল ফল নির্বাচন করুন।
  • বীজগুলি শুকিয়ে নিলে সেগুলি দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
  • বীজতলায় মাটি হালকা এবং নিষ্কাশনযোগ্য হওয়া উচিত।
  • বীজতলায় পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পাওয়া উচিত।
  • চারা রোপণের সময় বীজের মাথাগুলি মাটির উপরে থাকা উচিত।

আপেলের বীজ থেকে চারা উৎপাদনের জন্য প্রায় ৬-৮ মাস সময় লাগে। চারাগুলি ৪-৬ ইঞ্চি লম্বা হলে সেগুলি মূল জমিতে রোপণ করা যেতে পারে।

আপেল গাছে ফল আসার জন্য কত ঘন্টা ঠান্ডা পড়া দরকার

আপেল গাছে ফল আসার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে ঠান্ডা পড়ার প্রয়োজন হয়। এই ঠান্ডা পড়াকে “Chill hours” বলা হয়। Chill hours হল এমন সময় যার জন্য পরিবেশের তাপমাত্রা 43°F ( 7°C) এর নিচে থাকে। এই ঠান্ডা পড়ার ফলে আপেল গাছের ফুলের কুঁড়ি গঠন হয়।

আপেল গাছের বিভিন্ন প্রজাতির বিভিন্ন পরিমাণে ঠান্ডা পড়ার প্রয়োজন হয়। সাধারণত, আপেল গাছে ফল আসার জন্য 500 থেকে 1000 ঘন্টা ঠান্ডা পড়ার প্রয়োজন হয়। তবে, কিছু প্রজাতির আপেল গাছের 1500 ঘন্টা ঠান্ডা পড়ার প্রয়োজন হতে পারে।

ঠান্ডা পড়ার প্রয়োজন না হলে আপেল গাছ ফল ধরে না। তাই আপেল চাষের জন্য এমন জায়গা নির্বাচন করা উচিত যেখানে শীতকালে পর্যাপ্ত ঠান্ডা পড়ে।

বাংলাদেশে আপেল চাষের জন্য ঠান্ডা পড়ার পরিমাণ যথেষ্ট নয়। তাই বাংলাদেশে আপেল চাষের জন্য ঠান্ডা পড়ার ব্যবস্থা করতে হয়। এটি করার জন্য আপেল গাছগুলিকে শীতকালে ঠান্ডা পড়ার ব্যবস্থা করা হয়। এটি করার জন্য আপেল গাছগুলিকে শীতকালে শীতঘরে রাখা হয়।

কোন আবহাওয়া আপেল চাষের জন্য উপযুক্ত?

আপেল চাষের জন্য নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া সবচেয়ে উপযুক্ত। আপেল গাছের জন্য গড় তাপমাত্রা 10 থেকে 25 ডিগ্রি সেলসিয়াস (50 থেকে 77 ডিগ্রি ফারেনহাইট) থাকা উচিত। আপেল গাছ রোদ পছন্দ করে, তাই গাছ লাগানোর জন্য এমন জায়গা নির্বাচন করা উচিত যেখানে সারাদিন সূর্যের আলো পাওয়া যায়।

আপেল গাছে ফল আসার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে ঠান্ডা পড়ার প্রয়োজন হয়। এই ঠান্ডা পড়াকে “Chill hours” বলা হয়। Chill hours হল এমন সময় যার জন্য পরিবেশের তাপমাত্রা 43°F ( 7°C) এর নিচে থাকে। সাধারণত, আপেল গাছে ফল আসার জন্য 500 থেকে 1000 ঘন্টা ঠান্ডা পড়ার প্রয়োজন হয়। তবে, কিছু প্রজাতির আপেল গাছের 1500 ঘন্টা ঠান্ডা পড়ার প্রয়োজন হতে পারে।

আপেল চাষের জন্য এমন জায়গা নির্বাচন করা উচিত যেখানে শীতকালে পর্যাপ্ত ঠান্ডা পড়ে। বাংলাদেশে আপেল চাষের জন্য ঠান্ডা পড়ার পরিমাণ যথেষ্ট নয়। তাই বাংলাদেশে আপেল চাষের জন্য ঠান্ডা পড়ার ব্যবস্থা করতে হয়। এটি করার জন্য আপেল গাছগুলিকে শীতকালে ঠান্ডা পড়ার ব্যবস্থা করা হয়। এটি করার জন্য আপেল গাছগুলিকে শীতকালে শীতঘরে রাখা হয়।

আপেল চাষের জন্য উপযুক্ত আবহাওয়ার কিছু বৈশিষ্ট্য হল:

  • গড় তাপমাত্রা 10 থেকে 25 ডিগ্রি সেলসিয়াস (50 থেকে 77 ডিগ্রি ফারেনহাইট) থাকা উচিত।
  • সারাদিন সূর্যের আলো পাওয়া উচিত।
  • শীতকালে পর্যাপ্ত ঠান্ডা পড়া উচিত।

আপেল চাষের জন্য এমন জায়গা নির্বাচন করা উচিত যেখানে এই বৈশিষ্ট্যগুলি পাওয়া যায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *