ভোটার লিস্ট হল এমন একটি তালিকা যাতে বাংলাদেশের সকল ভোটারের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ ইত্যাদি তথ্য থাকে। ভোটার লিস্ট বের করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করা হয়:
প্রথম ধাপ:
- নির্বাচন কমিশন ভোটার লিস্ট বের করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করে।
- পরিকল্পনা অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন ভোটার এলাকাগুলিকে ভেঙে ভেঙে থানা, উপজেলা, জেলা এবং বিভাগ পর্যায়ে ভাগ করে।
দ্বিতীয় ধাপ:
- নির্বাচন কমিশন প্রতিটি ভোটার এলাকায় একজন ভোটার নিবন্ধন কর্মকর্তা নিয়োগ করে।
- ভোটার নিবন্ধন কর্মকর্তারা ভোটার এলাকায় গিয়ে ভোটারদের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করেন।
তৃতীয় ধাপ:
- ভোটার নিবন্ধন কর্মকর্তারা সংগৃহীত তথ্য নির্বাচন কমিশনে জমা দেন।
- নির্বাচন কমিশন সংগৃহীত তথ্য যাচাই-বাছাই করে ভোটার লিস্ট তৈরি করে।
চতুর্থ ধাপ:
- নির্বাচন কমিশন ভোটার লিস্ট প্রকাশ করে।
- ভোটাররা ভোটার লিস্টে তাদের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ ইত্যাদি তথ্য যাচাই করে নিতে পারেন।
ভোটার লিস্ট আপডেট করা:
ভোটার লিস্ট নিয়মিত আপডেট করা হয়। ভোটারদের মৃত্যু, জন্ম, ঠিকানা পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে ভোটার লিস্টে পরিবর্তন হয়। ভোটার লিস্ট আপডেট করার জন্য নির্বাচন কমিশন সময়মতো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
ভোটার লিস্টের বৈধতা:
ভোটার লিস্টের বৈধতা সাধারণত তিন বছর। প্রতি তিন বছর পর নতুন ভোটার লিস্ট প্রকাশ করা হয়। তবে, বিশেষ কারণে নির্বাচন কমিশন ভোটার লিস্টের বৈধতা বাড়াতে বা কমাতে পারে।
ভোটার লিস্টের তথ্য সংগ্রহ:
ভোটার লিস্টের তথ্য সংগ্রহের জন্য ভোটার নিবন্ধন কর্মকর্তারা ভোটার এলাকায় গিয়ে ভোটারদের কাছ থেকে নিম্নলিখিত তথ্য সংগ্রহ করেন:
- নাম
- পিতার নাম
- মাতার নাম
- স্বামী/স্ত্রীর নাম (যদি থাকে)
- জন্ম তারিখ
- লিঙ্গ
- জাতীয়তা
- ধর্ম
- পেশা
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- ঠিকানা
- মোবাইল নম্বর
- ইমেইল ঠিকানা
ভোটার লিস্টের যাচাই-বাছাই:
ভোটার লিস্টের তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য নির্বাচন কমিশন নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করে:
- ভোটার নিবন্ধন কর্মকর্তারা সংগৃহীত তথ্য নির্বাচন কমিশনে জমা দেন।
- নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সংগৃহীত তথ্য যাচাই-বাছাই করে।
- ভোটাররা ভোটার লিস্টে তাদের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ ইত্যাদি তথ্য যাচাই করে নিতে পারেন।
ভোটার লিস্ট প্রকাশ:
ভোটার লিস্টের যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচন কমিশন ভোটার লিস্ট প্রকাশ করে। ভোটার লিস্ট প্রকাশের পর ভোটাররা ভোটার নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।
ভোটারদের অধিকার:
ভোটারদের নিম্নলিখিত অধিকার রয়েছে:
- ভোট দেওয়ার অধিকার
- ভোটের জন্য প্রার্থী হওয়ার অধিকার
- ভোটের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার
- ভোটের দাবি জানার অধিকার
ভোটারদের দায়িত্ব:
ভোটারদের নিম্নলিখিত দায়িত্ব রয়েছে:
- ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকা
- ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা করা
- ভোটের দাবি জানালে তা সমর্থন করা
ভোটার লিস্ট ডাউনলোড করার নিয়ম
ভোটার লিস্ট ডাউনলোড করার নিয়ম
বাংলাদেশের ভোটার লিস্ট ডাউনলোড করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
প্রথমে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট www.ecs.gov.bd: https://www.ecs.gov.bd/ যান।
ওয়েবসাইটের হোমপেজে “ভোটার তথ্য” ট্যাবটিতে ক্লিক করুন।
“ভোটার তালিকা” বিকল্পটিতে ক্লিক করুন।
আপনার নির্বাচনী এলাকার নাম নির্বাচন করুন।
“ডাউনলোড” বোতামে ক্লিক করুন।
ডাউনলোডের পরে, আপনার কম্পিউটারে একটি পিডিএফ ফাইল সংরক্ষণ করা হবে। আপনি এই পিডিএফ ফাইলটি খুললে, আপনি আপনার নির্বাচনী এলাকার সমস্ত ভোটারের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ ইত্যাদি তথ্য দেখতে পাবেন।
ভোটার লিস্ট ডাউনলোডের বিকল্প উপায়
আপনি নির্বাচন কমিশনের মোবাইল অ্যাপ “ভোটার আইডি” ব্যবহার করেও ভোটার লিস্ট ডাউনলোড করতে পারেন। অ্যাপটি Google Play Store এবং Apple App Store থেকে ডাউনলোড করা যায়।
অ্যাপটিতে লগ ইন করার পরে, “ভোটার তথ্য” ট্যাবে ক্লিক করুন। তারপরে, আপনার নির্বাচনী এলাকার নাম নির্বাচন করুন। অ্যাপটি আপনাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার লিস্ট প্রদর্শন করবে। আপনি চাইলে এই লিস্টটি ডাউনলোড করতে পারেন।
যেভাবে ইউনিয়ন পরিষদ ভোটার তালিকা ডাউনলোড করবেন
যেভাবে ইউনিয়ন পরিষদ ভোটার তালিকা ডাউনলোড করবেন
বাংলাদেশের ইউনিয়ন পরিষদ ভোটার তালিকা ডাউনলোড করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
প্রথমে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট www.ecs.gov.bd: https://www.ecs.gov.bd/: https://www.ecs.gov.bd/ যান।
ওয়েবসাইটের হোমপেজে “ভোটার তথ্য” ট্যাবটিতে ক্লিক করুন।
“ভোটার তালিকা” বিকল্পটিতে ক্লিক করুন।
ডাউনলোডের পরে, আপনার কম্পিউটারে একটি পিডিএফ ফাইল সংরক্ষণ করা হবে। আপনি এই পিডিএফ ফাইলটি খুললে, আপনি আপনার ইউনিয়ন পরিষদের সমস্ত ভোটারের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ ইত্যাদি তথ্য দেখতে পাবেন।
ভোটার লিস্ট ডাউনলোডের বিকল্প উপায়
আপনি নির্বাচন কমিশনের মোবাইল অ্যাপ “ভোটার আইডি” ব্যবহার করেও ভোটার লিস্ট ডাউনলোড করতে পারেন। অ্যাপটি Google Play Store এবং Apple App Store থেকে ডাউনলোড করা যায়।
অ্যাপটিতে লগ ইন করার পরে, “ভোটার তথ্য” ট্যাবে ক্লিক করুন। তারপরে, আপনার জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নাম নির্বাচন করুন। অ্যাপটি আপনাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার লিস্ট প্রদর্শন করবে। আপনি চাইলে এই লিস্টটি ডাউনলোড করতে পারেন।
ইউনিয়ন পরিষদ ভোটার তালিকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য
- ইউনিয়ন পরিষদ ভোটার তালিকাটি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত হয়।
- এই তালিকাটিতে ইউনিয়ন পরিষদের সকল ভোটারের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ ইত্যাদি তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে।
- এই তালিকাটি নির্বাচনের সময় ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য প্রয়োজনীয়।
অনলাইন ছাড়া কিভাবে সংগ্রহ করা যায়?
ভোটার তালিকা অনলাইন ছাড়া সংগ্রহ করার উপায়
বাংলাদেশে ভোটার তালিকা অনলাইন ছাড়াও নিম্নলিখিত উপায়ে সংগ্রহ করা যায়:
- ভোটার নিবন্ধন কেন্দ্র থেকে:
ভোটার নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে আপনি আপনার নির্বাচনী এলাকার ভোটার তালিকা সংগ্রহ করতে পারেন। ভোটার নিবন্ধন কেন্দ্রগুলি সাধারণত উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, জেলা নির্বাচন অফিস এবং ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থিত থাকে।
- ইউনিয়ন পরিষদ থেকে:
আপনার ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে আপনি আপনার নির্বাচনী এলাকার ভোটার তালিকা সংগ্রহ করতে পারেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সচিব আপনাকে ভোটার তালিকা প্রদান করবেন।
- ভোটার নিবন্ধন কর্মকর্তার কাছ থেকে:
আপনার নির্বাচনী এলাকার ভোটার নিবন্ধন কর্মকর্তার কাছ থেকে আপনি আপনার নির্বাচনী এলাকার ভোটার তালিকা সংগ্রহ করতে পারেন। ভোটার নিবন্ধন কর্মকর্তা আপনাকে ভোটার তালিকা প্রদান করবেন।
ভোটার তালিকা সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ভোটার তালিকা সংগ্রহের জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র
- আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ
- আপনার বাড়ির ঠিকানার প্রমাণ
ভোটার তালিকা সংগ্রহের সময়
ভোটার তালিকা সংগ্রহের সময় আপনাকে অবশ্যই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে যেতে হবে। ভোটার তালিকা সংগ্রহের জন্য কোন চার্জ প্রদান করতে হয় না।
ভোটার তালিকা সংগ্রহের জন্য সতর্কতা
ভোটার তালিকা সংগ্রহের সময় আপনাকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে সতর্ক থাকতে হবে:
- ভোটার তালিকা সংগ্রহের জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং বাড়ির ঠিকানার প্রমাণ সঙ্গে নিতে হবে।
- ভোটার তালিকা সংগ্রহের জন্য আপনাকে অবশ্যই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে যেতে হবে।
- ভোটার তালিকা সংগ্রহের জন্য আপনাকে কোন চার্জ প্রদান করতে হয় না।
ভোটার তালিকা দেখার উপায়
ভোটার তালিকা দেখার উপায়
বাংলাদেশে ভোটার তালিকা দেখার জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলি রয়েছে:
- অনলাইনে:
আপনি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার নির্বাচনী এলাকার ভোটার তালিকা দেখতে পারেন। ওয়েবসাইটের হোমপেজে “ভোটার তথ্য” ট্যাবটিতে ক্লিক করুন। তারপরে, আপনার জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নাম নির্বাচন করুন। আপনি “ভোটার তালিকা” বিকল্পটিতে ক্লিক করে আপনার নির্বাচনী এলাকার সমস্ত ভোটারের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ ইত্যাদি তথ্য দেখতে পাবেন।
- মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে:
আপনি নির্বাচন কমিশনের মোবাইল অ্যাপ “ভোটার আইডি” ব্যবহার করেও ভোটার তালিকা দেখতে পারেন। অ্যাপটি Google Play Store এবং Apple App Store থেকে ডাউনলোড করা যায়। অ্যাপটিতে লগ ইন করার পরে, “ভোটার তথ্য” ট্যাবে ক্লিক করুন। তারপরে, আপনার জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নাম নির্বাচন করুন। অ্যাপটি আপনাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার লিস্ট প্রদর্শন করবে।
- ভোটার নিবন্ধন কেন্দ্র থেকে:
আপনার নির্বাচনী এলাকার ভোটার নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে আপনি আপনার নির্বাচনী এলাকার ভোটার তালিকা দেখতে পারেন। ভোটার নিবন্ধন কেন্দ্রগুলি সাধারণত উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, জেলা নির্বাচন অফিস এবং ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থিত থাকে।
- ইউনিয়ন পরিষদ থেকে:
আপনার ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে আপনি আপনার নির্বাচনী এলাকার ভোটার তালিকা দেখতে পারেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সচিব আপনাকে ভোটার তালিকা প্রদান করবেন।
- ভোটার নিবন্ধন কর্মকর্তার কাছ থেকে:
আপনার নির্বাচনী এলাকার ভোটার নিবন্ধন কর্মকর্তার কাছ থেকে আপনি আপনার নির্বাচনী এলাকার ভোটার তালিকা দেখতে পারেন। ভোটার নিবন্ধন কর্মকর্তা আপনাকে ভোটার তালিকা প্রদান করবেন।
ভোটার তালিকা দেখার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ভোটার তালিকা দেখার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র
- আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ
- আপনার বাড়ির ঠিকানার প্রমাণ
ভোটার তালিকা দেখার সময়
ভোটার তালিকা দেখার সময় আপনাকে অবশ্যই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে যেতে হবে। ভোটার তালিকা দেখার জন্য কোন চার্জ প্রদান করতে হয় না।