ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের সংক্ষিপ্ত জীবনী

ফজলে হাসান আবেদ কে কেন স্যার বলা হয়

ফজলে হাসান আবেদ কে স্যার বলা হয় কারণ তিনি একজন অধ্যাপক এবং শিক্ষক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন এবং তিনি এই বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং তার অবদানের জন্য তিনি অত্যন্ত সম্মানিত ছিলেন।

বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে ফজলে হাসান আবেদ একজন অগ্রণী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি হিসাববিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি একজন দক্ষ শিক্ষক ছিলেন এবং তিনি তার ছাত্রদের মধ্যে হিসাববিজ্ঞান সম্পর্কে গভীর বোঝার বিকাশে সহায়তা করেছেন।

তিনি একজন অনুপ্রেরণামূলক ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং তিনি তার ছাত্রদেরকে তাদের শিক্ষাজীবনে এবং তাদের কর্মজীবনে সফল হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন।

ফজলে হাসান আবেদ একজন সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন এবং তিনি তার কাজের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ছিলেন। তিনি একজন সত্যিকারের শিক্ষাবিদ ছিলেন এবং তিনি তার ছাত্রদের জন্য একজন আদর্শ ছিলেন।

এখানে ফজলে হাসান আবেদকে স্যার বলার কিছু কারণ রয়েছে:

  • তিনি একজন অধ্যাপক ছিলেন, যা একটি সম্মানিত পদ।
  • তিনি একজন শিক্ষক ছিলেন, যা একটি সম্মানিত পেশা।
  • তিনি একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ছিলেন, যার অবদানের জন্য তিনি অত্যন্ত সম্মানিত ছিলেন।
  • তিনি একজন দক্ষ শিক্ষক ছিলেন, যিনি তার ছাত্রদের মধ্যে গভীর বোঝার বিকাশে সহায়তা করেছিলেন।
  • তিনি একজন অনুপ্রেরণামূলক ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যিনি তার ছাত্রদেরকে তাদের শিক্ষাজীবনে এবং তাদের কর্মজীবনে সফল হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন।

ফজলে হাসান আবেদ একজন সত্যিকারের শিক্ষাবিদ ছিলেন এবং তিনি তার ছাত্রদের জন্য একজন আদর্শ ছিলেন। তিনি একজন সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন এবং তিনি তার কাজের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ছিলেন।

ব্র্যাক এর বর্তমান চেয়ারম্যান কে?

ব্র্যাকের বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন মেহেরিয়ার এম হাসান। তিনি ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট থেকে এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদের মেয়ে।

মেহেরিয়ার এম হাসান ১৯৬১ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ব্র্যাকের একজন পরিচালক হিসাবে ১৯৯০ সাল থেকে কাজ করছেন। তিনি ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালক এবং ব্র্যাক ফাউন্ডেশনের সভাপতিও।

মেহেরিয়ার এম হাসান বাংলাদেশের একজন সমাজসেবী। তিনি দারিদ্র্য বিমোচন এবং নারী ক্ষমতায়নে কাজ করে থাকেন। তিনি ব্র্যাকের বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছেন।

স্যার ফজলে হাসান আবেদের নামে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম

স্যার ফজলে হাসান আবেদের নামে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর। প্রস্তাব অনুসারে, বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম হবে “স্যার ফজলে হাসান আবেদ ইউনিভার্সিটি” এবং সংক্ষেপে “আবেদ ইউনিভার্সিটি”।

এই প্রস্তাবটি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল এবং ২০২১ সালের ২৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কাছে নাম পরিবর্তনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল।

তবে, এই প্রস্তাবে ইউজিসির কোনো মতামত ছিল না। ইউজিসির মতে, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক পরিচিতি ক্ষুণ্ণ হতে পারে।

এছাড়াও, ইউজিসির মতে, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই, কারণ বিশ্ববিদ্যালয়টি ইতিমধ্যেই একটি সুপরিচিত এবং স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান।

এই মতামত অনুসারে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিকে একটি চিঠি পাঠিয়ে নাম পরিবর্তনের অনুমতি দেয়নি।

এই চিঠিতে বলা হয়েছিল যে, “বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক পরিচিতি ক্ষুণ্ণ হতে পারে এবং এটি একটি অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হবে।”

এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন হয়নি এবং বিশ্ববিদ্যালয়টি এখনও তার মূল নাম “ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি” নামে পরিচি

সারা বিশ্বের স্যার ফজলে হাসান আবেদ

স্যার ফজলে হাসান আবেদ ছিলেন একজন বাংলাদেশি সমাজকর্মী এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তার কাজের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছেন।

আবেদ ১৯৩৬ সালে বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৭০ সালে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন। ব্র্যাক বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি সামাজিক উন্নয়ন সংস্থাগুলির মধ্যে একটি।

আবেদ দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য তার কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে, আবেদ লক্ষ লক্ষ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সাহায্য করেছেন।

ব্র্যাকের শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে, আবেদ লক্ষ লক্ষ শিশুকে স্কুলে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। ব্র্যাকের স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির মাধ্যমে, আবেদ লক্ষ লক্ষ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছেন। ব্র্যাকের নারী ক্ষমতায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে, আবেদ লক্ষ লক্ষ নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করেছেন।

আবেদ তার কাজের জন্য অসংখ্য পুরস্কার এবং সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি ১৯৮৭ সালে রামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, ১৯৯৮ সালে অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার, ২০০৬ সালে জাতিসংঘের নোবেল হিসেবে পরিচিত সোচল ডেভেলপমেন্ট পদক, এবং ২০১০ সালে ইউনেস্কোর গ্লোবাল শিক্ষক পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যের রানী দ্বারা নাইট উপাধি পেয়েছিলেন।

আবেদ ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর ঢাকায় মারা যান। তার মৃত্যুর পর, সারা বিশ্বের নেতারা এবং ব্যক্তিত্বরা তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছিলেন।

আবেদ ছিলেন একজন প্রকৃত নেতা এবং একজন অসামান্য মানুষ। তার কাজ বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছে। তিনি একজন সত্যিকারের অগ্রগামী ছিলেন এবং তার অবদানের জন্য তিনি চিরকাল স্মরণীয় থাকবেন।

সারা বিশ্বে, আবেদকে একজন প্রভাবশালী সমাজকর্মী এবং দারিদ্র্য বিমোচনের একজন নেতা হিসেবে দেখা হয়। তিনি তার কাজের জন্য অসংখ্য পুরস্কার এবং সম্মাননা পেয়েছেন। তার কাজ বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছে।

আবেদের কাজের কিছু উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল:

  • ব্র্যাকের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি: এই কর্মসূচির মাধ্যমে, ব্র্যাক লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মানুষকে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করেছে। এই ঋণগুলি মানুষকে তাদের ব্যবসা শুরু করতে, তাদের শিক্ষার জন্য অর্থ প্রদান করতে, এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করেছে।
  • ব্র্যাকের শিক্ষা কর্মসূচি: এই কর্মসূচির মাধ্যমে, ব্র্যাক লক্ষ লক্ষ শিশুকে স্কুলে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। ব্র্যাকের স্কুল এবং কলেজগুলিতে লক্ষ লক্ষ শিশু শিক্ষা গ্রহণ করছে।
  • ব্র্যাকের স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি: এই কর্মসূচির মাধ্যমে, ব্র্যাক লক্ষ লক্ষ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। ব্র্যাকের স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং হাসপাতালে লক্ষ লক্ষ মানুষ চিকিৎসা গ্রহণ করছে।
  • ব্র্যাকের নারী ক্ষমতায়ন কর্মসূচি: এই কর্মসূচির মাধ্যমে, ব্র্যাক লক্ষ লক্ষ নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করেছে। ব্র্যাকের নারী ক্ষমতায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে, লক্ষ লক্ষ নারী ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করেছে, তাদের শিক্ষার জন্য অর্থ প্রদান করেছে, এবং তাদের পরিবারের উপর আরও বেশি প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে।

আবেদের কাজ বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অবদান। তার কাজ লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছে এবং বিশ্বকে একটি উন্নত স্থান করে তুলতে সাহায্য করেছে।

স্যার ফজলে হাসান আবেদ বিশ্ববিদ্যালয়

স্যার ফজলে হাসান আবেদ বিশ্ববিদ্যালয় (সাধারণভাবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত) বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ২০০১ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২-এর অধীনে ফজলে হাসান আবেদের ব্র্যাক সংস্থার শাখা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকায় অবস্থিত এবং এটিতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং গবেষণা পর্যায়ের প্রোগ্রাম রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১১,০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বিশ্বব্যাপী একটি সম্মানিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটিকে টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির লক্ষ্য হল একটি উচ্চমানের শিক্ষা প্রদান করা যা শিক্ষার্থীদের তাদের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ করতে এবং তাদের সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম করে। বিশ্ববিদ্যালয়টি তার শিক্ষার মান, গবেষণা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার জন্য পরিচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব হল:

  • টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান: বিশ্ববিদ্যালয়টিকে টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান দেওয়া হয়েছে।
  • ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইউনিভার্সিটিস (আইএসইউ) এর সদস্য: বিশ্ববিদ্যালয়টি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইউনিভার্সিটিস (আইএসইউ) এর সদস্য।
  • এশিয়ান নেটওয়ার্ক অফ ইকোনমিকস (এএনই) এর সদস্য: বিশ্ববিদ্যালয়টি এশিয়ান নেটওয়ার্ক অফ ইকোনমিক্স (এএনই) এর সদস্য।
  • এশিয়ান নেটওয়ার্ক অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস (এএনএসএস) এর সদস্য: বিশ্ববিদ্যালয়টি এশিয়ান নেটওয়ার্ক অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস (এএনএসএস) এর সদস্য।
  • এশিয়ান নেটওয়ার্ক অফ ম্যানেজমেন্ট (এএনএম) এর সদস্য: বিশ্ববিদ্যালয়টি এশিয়ান নেটওয়ার্ক অফ ম্যানেজমেন্ট (এএনএম) এর সদস্য।
  • এশিয়ান নেটওয়ার্ক অফ অ্যাডাল্ট এডুকেশন (এএনএই) এর সদস্য: বিশ্ববিদ্যালয়টি এশিয়ান নেটওয়ার্ক অফ অ্যাডাল্ট এডুকেশন (এএনএই) এর সদস্য।

স্যার ফজলে হাসান আবেদ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি অগ্রণী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি তার শিক্ষার মান, গবেষণা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার জন্য পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বব্যাপী একটি সম্মানিত প্রতিষ্ঠান এবং এটি বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ফজলে হাসান আবেদের মৃত্যু

ফজলে হাসান আবেদ ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর ঢাকায় মারা যান। তিনি ৮৩ বছর বয়সী ছিলেন। তার মৃত্যুর কারণ ছিল হার্ট অ্যাটাক।

আবেদ ১৯৩৬ সালে বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৭০ সালে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন। ব্র্যাক বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি সামাজিক উন্নয়ন সংস্থাগুলির মধ্যে একটি।

আবেদ দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য তার কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে, আবেদ লক্ষ লক্ষ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সাহায্য করেছেন।

ব্র্যাকের শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে, আবেদ লক্ষ লক্ষ শিশুকে স্কুলে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। ব্র্যাকের স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির মাধ্যমে, আবেদ লক্ষ লক্ষ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছেন। ব্র্যাকের নারী ক্ষমতায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে, আবেদ লক্ষ লক্ষ নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করেছেন।

আবেদের মৃত্যুর পর, সারা বিশ্বের নেতারা এবং ব্যক্তিত্বরা তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছিলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে “একজন মহান মানুষ” বলে অভিহিত করেছিলেন। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস তাকে “দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে একজন অগ্রদূত” বলে অভিহিত করেছিলেন।

আবেদ বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তার কাজ বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছে। তিনি একজন সত্যিকারের অগ্রগামী ছিলেন এবং তার অবদানের জন্য তিনি চিরকাল স্মরণীয় থাকবেন।

আবেদের মৃত্যুর পর, ব্র্যাকের চেয়ারম্যান পদে তার ছেলে ওয়াসিফুল ইসলাম আবেদ নির্বাচিত হন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *