সংবিধান কাকে বলে? লিখিত ও অলিখিত সংবিধানের মধ্যে পার্থক্য

অলিখিত সংবিধান হল একটি সংবিধান যা কোনও দলিলে লিপিবদ্ধ থাকে না। এই সংবিধানটি একটি দেশের ঐতিহ্য, প্রথা এবং আইনের মাধ্যমে গঠিত হয়। অলিখিত সংবিধানগুলি সাধারণত লিখিত সংবিধানের তুলনায় কম সুনির্দিষ্ট হয় এবং এগুলি সংশোধন করা সহজ।

অলিখিত সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল:

• দলিল: অলিখিত সংবিধান কোনও দলিলে লিপিবদ্ধ থাকে না।
• বিধি: অলিখিত সংবিধানের নীতি ও বিধানগুলি ঐতিহ্য, প্রথা ও আইনের মাধ্যমে গঠিত হয়।
• সুনির্দিষ্টতা: অলিখিত সংবিধানগুলি সাধারণত লিখিত সংবিধানের তুলনায় কম সুনির্দিষ্ট।
• সংশোধন: অলিখিত সংবিধানগুলি সংশোধন করা সহজ।

অলিখিত সংবিধানগুলির কিছু উদাহরণ হল:

• যুক্তরাজ্য
• অস্ট্রেলিয়া
• নিউজিল্যান্ড
• ইস্রায়েল
• সুইজারল্যান্ড

অলিখিত সংবিধানের সুবিধাগুলি হল:

• এটি একটি দেশের ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে।
• এটি একটি দেশের সরকারের কার্যকারিতাকে উন্নত করতে পারে।
• এটি সংশোধন করা সহজ।

অলিখিত সংবিধানের অসুবিধাগুলি হল:

• এটি কম সুনির্দিষ্ট হতে পারে, যা আইনি অনিশ্চয়তার দিকে পরিচালিত করতে পারে।
• এটি সংশোধন করা সহজ, যা জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতার জন্য হুমকি হতে পারে।

নিম্নের বিশেষজ্ঞদের দেওয়া কয়েকটি সংখ্যা উপস্থাপন করা হল:

• বৈশ্বিক উষ্ণায়নের হার: জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংস্থা (আইপিসিসি) অনুসারে, ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
• সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি: আইপিসিসি অনুসারে, ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রের উচ্চতা প্রায় ২৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেতে পারে।
• বন্যা ও খরার ঘটনা বৃদ্ধি: আইপিসিসি অনুসারে, বন্যা ও খরার ঘটনা ২০৫০ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
• প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি: বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে বনভূমি পুড়ে যাওয়া, প্রজাতির বিলুপ্তি এবং অন্যান্য পরিবেশগত ক্ষতি হতে পারে।
• মানব স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব: বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যেমন গরমের তাপ, রোগের বিস্তার এবং খাদ্য ও জলের অনিশ্চয়তা।

এই সংখ্যাগুলি অত্যন্ত উদ্বেগজনক, কারণ তারা দেখায় যে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন একটি গুরুতর সমস্যা যা ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে প্রভাব ফেলছে। এই সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য, আমাদের অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে।

নিম্নলিখিত বিশেষজ্ঞদের মতামতগুলিও উদ্বেগজনক:

• নোবেল বিজয়ী জলবায়ু বিজ্ঞানী পল ক্রুটজেন বলেন, “বৈশ্বিক উষ্ণায়ন একটি ক্রমবর্ধমান এবং দ্রুতগতিতে চলমান সমস্যা যা আমাদের গ্রহের জন্য একটি বাস্তব হুমকি।”
• আইপিসিসির প্রধান মিশেল ম্যাঙ্গন বলেন, “বৈশ্বিক উষ্ণায়ন একটি জরুরি অবস্থা এবং আমাদের অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে।”
• ইউনায়েটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনইপি) এর প্রধান ইনগ্রিড ওয়াগানে বলেন, “বৈশ্বিক উষ্ণায়ন একটি প্রধান হুমকি যা আমাদের গ্রহের টেকসই ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে ফেলছে।”

এই বিশেষজ্ঞদের মতামতগুলি দেখায় যে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন একটি গুরুতর সমস্যা যা আমাদের সকলের জন্য একটি হুমকি। আমাদের অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এই সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য কাজ করতে হবে।