সমাস কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী?

সমাস শব্দের অর্থ হল সংক্ষেপ। সমাস হল দুই বা ততোধিক পদের এক পদে রূপান্তরিত হওয়া। সমাসের মাধ্যমে বাক্য সংক্ষিপ্ত ও সুন্দর হয়। সমাসকে বাংলা ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সমস চার প্রকার:

  • দ্বন্দ্ব সমাস: দুই পদের মিলনে যে সমাস হয় তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। দ্বন্দ্ব সমাসে পদগুলির অর্থের মিল থাকে।

উদাহরণ:

  • রাম ও শ্যাম = রামসাম

  • কাঁচা ও পাকা = কাঁচাপাকা

  • হাঁটু ও পা = হাঁটুপা

  • কর্মধারয় সমাস: যে সমাসে কর্মপদ ও কর্তাপদ মিলে একটি পদ হয় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। কর্মধারয় সমাসে পদগুলির অর্থের সম্বন্ধ থাকে।

উদাহরণ:

  • পাখির ডাক = পাখিডাক

  • মাছের মাংস = মাছেমাংস

  • হাতের কাজ = হাতেরকাজ

  • তৎপুরুষ সমাস: যে সমাসে বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ মিলে একটি পদ হয় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। তৎপুরুষ সমাসে পদগুলির অর্থের অধিকত্ব বা অভাব বোঝায়।

উদাহরণ:

  • পুতুল খেলা = পুতুলেরখেলা

  • পৃথিবীর মানুষ = পৃথিবীরমানুষ

  • সূর্যের আলো = সূর্যেরআলো

  • বহুব্রীহি সমাস: যে সমাসে বিশেষ্য পদ ও বিশেষণ পদ মিলে একটি পদ হয়, কিন্তু বিশেষ্য পদটি বিশেষণ পদটির অর্থের দিক নির্দেশ করে তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। বহুব্রীহি সমাসে পদগুলির অর্থের সম্বন্ধ থাকে।

উদাহরণ:

  • সোনার গয়না = সোনা যার গয়না
  • নদীর পানি = নদীর যে পানি
  • বনের বাঘ = বনে যে বাঘ

অবশ্য, আধুনিক বাংলা ব্যাকরণে দ্বন্দ্ব ও দ্বিগু সমাসকে কর্মধারয় সমাসের অন্তর্গত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সমাস শব্দের অর্থ কি?

সমাস শব্দের অর্থ হল সংক্ষেপ। সমাস হল দুই বা ততোধিক পদের এক পদে রূপান্তরিত হওয়া। সমাসের মাধ্যমে বাক্য সংক্ষিপ্ত ও সুন্দর হয়। সমাসকে বাংলা ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সমাসের প্রতীতি কয়টি?

সমাসের প্রতীতি হল সমাসের মাধ্যমে গঠিত পদটির অংশগুলিকে চিহ্নিত করা। সমাসের প্রতীতি পাঁচটি:

  • সমস্তপদ: সমাসের মাধ্যমে গঠিত পদটির নাম হল সমস্তপদ।
  • পূর্বপদ: সমস্তপদটির প্রথম অংশকে পূর্বপদ বলে।
  • পরপদ: সমস্তপদটির দ্বিতীয় অংশকে পরপদ বলে।
  • ব্যাসবাক্য: সমস্তপদটিকে ভেঙে যে বাক্যাংশ পাওয়া যায় তাকে ব্যাসবাক্য বলে।
  • সমস্যমান পদ: সমস্তপদটির অন্তর্গত পদগুলিকে সমস্যমান পদ বলে।

উদাহরণ:

  • সমস্তপদ: পুতুলখেলা
  • পূর্বপদ: পুতুল
  • পরপদ: খেলা
  • ব্যাসবাক্য: পুতুলদের খেলা
  • সমস্যমান পদ: পুতুল ও খেলা

অতএব, সমাসের প্রতীতি পাঁচটি।

সমাস কত প্রকার ও কি কি

সমাস হল একাধিক পদের একত্রিত হয়ে একটি নতুন পদ গঠনের প্রক্রিয়া। সমাস প্রধানত ছয় প্রকার:

  • দ্বন্দ্ব সমাস: যে সমাসে দুই বা ততোধিক পদের সমস্যমান পদগুলির অর্থ মিলে একটি নতুন অর্থ প্রকাশ করে তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন: পুতুল ও খেলা = পুতুলখেলা
  • কর্মধারয় সমাস: যে সমাসে বিশেষ্য বা বিশেষণ পদের সঙ্গে বিশেষ্য বা বিশেষণ পদের মিলনে পরপদের অর্থ প্রধান হয় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: সিংহের আসন = সিংহাসন
  • তৎপুরুষ সমাস: যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পেয়ে পরপদের অর্থ প্রধান হয় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: মধু দিয়ে মাখা = মধুমাখা
  • বহুব্রীহি সমাস: যে সমাসে পূর্বপদের অর্থ বুঝিয়ে পরপদের অর্থ প্রকাশ হয় তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন: আশী বছর বয়স = আশীবর্ষ
  • দ্বিগু সমাস: যে সমাসে পূর্বপদ সংখ্যাবাচক শব্দ হলে পরপদের অর্থ প্রধান হয় তাকে দ্বিগু সমাস বলে। যেমন: পাঁচটি বাঘ = পঞ্চবাঘ
  • অব্যয়ীভাব সমাস: যে সমাসে পূর্বপদ অব্যয় হলে অব্যয়ের অর্থ প্রধান হয় তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। যেমন: সূর্যের নিচে = উপসূর্য

আধুনিক বাংলা ব্যাকরণে দ্বিগু সমাসকে কর্মধারয় সমাসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং অব্যয়ীভাব সমাসকে তৎপুরুষ সমাসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সমাস চার প্রকার: দ্বন্দ্ব, কর্মধারয়, তৎপুরুষ ও বহুব্রীহি সমাস।

সমাস গঠনের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত নিয়মগুলি মেনে চলতে হয়:

  • সমাসের ক্ষেত্রে সমস্যমান পদগুলির বিভক্তির মিল থাকতে হয়।
  • সমাসের ক্ষেত্রে সমস্যমান পদগুলির অর্থগত মিল থাকতে হয়।
  • সমাসের ক্ষেত্রে সমস্তপদটিকে ভেঙে যে বাক্যাংশ পাওয়া যায় তার অর্থগত মিল থাকতে হয়।

সমাস বাংলা ভাষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণিক বিষয়। সমাসের মাধ্যমে বাংলা ভাষায় নতুন নতুন শব্দ গঠিত হয় এবং বাক্যের অর্থ প্রকাশ সহজতর হয়।

সমাস এর উপাদান

সমাস হল একাধিক পদকে একত্রিত করে একটি নতুন পদ গঠনের প্রক্রিয়া। সমাসের মাধ্যমে গঠিত পদটিকে সমস্তপদ বলে। সমস্তপদটিকে ভেঙে যে বাক্যাংশ পাওয়া যায় তাকে ব্যাসবাক্য বলে। সমস্তপদটিতে দুইটি অংশ থাকে: পূর্বপদ ও পরপদ।

পূর্বপদ: সমস্তপদটির প্রথম অংশকে পূর্বপদ বলে। পূর্বপদটি সাধারণত বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ হয়। তবে অব্যয় পদও পূর্বপদ হতে পারে।

পরপদ: সমস্তপদটির দ্বিতীয় অংশকে পরপদ বলে। পরপদটি সাধারণত বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ হয়। তবে অব্যয় পদও পরপদ হতে পারে।

সমস্যমান পদ: সমস্তপদটির অন্তর্গত পদগুলিকে সমস্যমান পদ বলে। সমস্যমান পদগুলির অর্থগত মিল থাকে।

উদাহরণ:

  • সমস্তপদ: পুতুলখেলা
  • পূর্বপদ: পুতুল
  • পরপদ: খেলা
  • সমস্যমান পদ: পুতুল ও খেলা

অতএব, সমাসের উপাদান হল:

  • সমস্তপদ
  • পূর্বপদ
  • পরপদ
  • সমস্যমান পদ

সমাসের শ্রেণিবিভাগ

সমাসের শ্রেণিবিভাগ প্রধানত চারটি:

  • দ্বন্দ্ব সমাস: যে সমাসে দুই বা ততোধিক পদের সমস্যমান পদগুলির অর্থ মিলে একটি নতুন অর্থ প্রকাশ করে তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন: পুতুল ও খেলা = পুতুলখেলা
  • কর্মধারয় সমাস: যে সমাসে বিশেষ্য বা বিশেষণ পদের সঙ্গে বিশেষ্য বা বিশেষণ পদের মিলনে পরপদের অর্থ প্রধান হয় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: সিংহের আসন = সিংহাসন
  • তৎপুরুষ সমাস: যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পেয়ে পরপদের অর্থ প্রধান হয় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: মধু দিয়ে মাখা = মধুমাখা
  • বহুব্রীহি সমাস: যে সমাসে পূর্বপদের অর্থ বুঝিয়ে পরপদের অর্থ প্রকাশ হয় তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন: আশী বছর বয়স = আশীবর্ষ

আধুনিক বাংলা ব্যাকরণে দ্বিগু সমাসকে কর্মধারয় সমাসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং অব্যয়ীভাব সমাসকে তৎপুরুষ সমাসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সমাস চার প্রকার: দ্বন্দ্ব, কর্মধারয়, তৎপুরুষ ও বহুব্রীহি সমাস।

সমাসের শ্রেণিবিভাগের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত নিয়মগুলি মেনে চলা হয়:

  • সমস্তপদটির অর্থগত মিলের ভিত্তিতে সমাসকে শ্রেণিবিভাগ করা হয়।
  • সমস্তপদটির গঠনগত মিলের ভিত্তিতে সমাসকে শ্রেণিবিভাগ করা হয়।

সমস্তপদটির অর্থগত মিলের ভিত্তিতে সমাসের শ্রেণিবিভাগ:

  • দ্বন্দ্ব সমাস: যে সমাসে সমস্যমান পদগুলির অর্থের মিল হয় তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন: পুতুল ও খেলা = পুতুলখেলা
  • কর্মধারয় সমাস: যে সমাসে সমস্যমান পদগুলির অর্থের সম্বন্ধ থাকে তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: সিংহের আসন = সিংহাসন
  • তৎপুরুষ সমাস: যে সমাসে সমস্যমান পদগুলির অর্থের অধিকত্ব বা অভাব বোঝায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: মধু দিয়ে মাখা = মধুমাখা
  • বহুব্রীহি সমাস: যে সমাসে সমস্যমান পদগুলির অর্থের দিক নির্দেশ বোঝায় তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন: আশী বছর বয়স = আশীবর্ষ

সমস্তপদটির গঠনগত মিলের ভিত্তিতে সমাসের শ্রেণিবিভাগ:

  • দ্বন্দ্ব সমাস: যে সমাসে সমস্তপদটি দুই বা ততোধিক পদ মিলে গঠিত হয় তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন: পুতুল ও খেলা = পুতুলখেলা
  • কর্মধারয় সমাস: যে সমাসে সমস্তপদটি পূর্বপদ ও পরপদ মিলে গঠিত হয় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: সিংহের আসন = সিংহাসন
  • তৎপুরুষ সমাস: যে সমাসে সমস্তপদটি পূর্বপদ ও পরপদ মিলে গঠিত হয় এবং পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: মধু দিয়ে মাখা = মধুমাখা
  • বহুব্রীহি সমাস: যে সমাসে সমস্তপদটি পূর্বপদ ও পরপদ মিলে গঠিত হয় এবং পূর্বপদ পরপদের অর্থের দিক নির্দেশ করে তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন: আশী বছর বয়স = আশীবর্ষ

সমাসের শ্রেণিবিভাগের মাধ্যমে সমাসকে সহজে বোঝা যায় এবং সমাস ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *