সাইক্লোন শব্দটির অর্থ কি? এর কারণ ও করণীয় কি?

সাইক্লোন শব্দটির অর্থ

সাইক্লোন শব্দটি গ্রিক শব্দ “cyclos” থেকে এসেছে, যার অর্থ “বৃত্তাকার”। সাইক্লোন হলো একটি ঘূর্ণিঝড়, যা একটি উচ্চচাপ কেন্দ্রের চারপাশে ঘূর্ণায়মান বাতাসের একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা। সাইক্লোনগুলি সাধারণত উষ্ণ সমুদ্রের উপরে ঘটে এবং তারা প্রবল বাতাস, বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসের কারণ হতে পারে।

সাইক্লোনের কারণ

সাইক্লোনের কারণ হলো উষ্ণ সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরে বাতাসের তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার পার্থক্য। উষ্ণ সমুদ্রের উপরে বাতাস কম ঘন থাকে এবং তাই এটি বেশি চাপযুক্ত থাকে। এই কম ঘন বাতাস উচ্চচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবাহিত হয়। পথে, এই বাতাস উষ্ণ সমুদ্রের জল থেকে আর্দ্রতা শোষণ করে এবং ঘনীভূত হয়। এই ঘনীভূত জল বাষ্প বৃষ্টিপাতের আকারে পতিত হয়।

সাইক্লোনের সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলি হলো:

  • উষ্ণ সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমপক্ষে 26 ডিগ্রি সেলসিয়াস।
  • উচ্চতার সাথে বাতাসের তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য হ্রাস।
  • উপকূলীয় অঞ্চলে একটি উচ্চচাপ কেন্দ্র।

সাইক্লোনের করণীয়

সাইক্লোনের সময় নিম্নলিখিত করণীয়গুলি অবলম্বন করা উচিত:

  • আবহাওয়ার পূর্বাভাস মনোযোগ সহকারে শুনুন।
  • ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা বা সতর্কতা জারি করা হলে, নিরাপদ স্থানে চলে যান।
  • আপনার বাড়ি বা অন্যান্য সম্পত্তি সুরক্ষিত করুন।
  • জরুরি সরবরাহের একটি ত্রাণ প্যাক প্রস্তুত করুন।

সাইক্লোনের সময় নিম্নলিখিত কাজগুলি করা উচিত নয়:

  • ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকবেন না।
  • উঁচু ভবন বা গাছের নীচে আশ্রয় নেবেন না।
  • খোলা জায়গায় থাকবেন না।

সাইক্লোনের সময় নিরাপদ থাকার জন্য উপরের করণীয়গুলি অবলম্বন করা জরুরি।

সাইক্লোন কি

সাইক্লোন হলো একটি ঘূর্ণিঝড়, যা উষ্ণ সমুদ্রের উপরে ঘটে। সাইক্লোনের কেন্দ্রে বাতাসের চাপ থাকে খুব কম, আর এর চারপাশে ঘূর্ণায়মান বাতাসের গতিবেগ থাকে খুব বেশি। সাইক্লোন প্রবল বাতাস, বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসের কারণ হতে পারে।

সাইক্লোন সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলি হলো:

  • উষ্ণ সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমপক্ষে 26 ডিগ্রি সেলসিয়াস।
  • উচ্চতার সাথে বাতাসের তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য হ্রাস।
  • উপকূলীয় অঞ্চলে একটি উচ্চচাপ কেন্দ্র।

সাইক্লোন সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:

  • উষ্ণ সমুদ্রের উপরে বাতাস কম ঘন থাকে এবং তাই এটি বেশি চাপযুক্ত থাকে।
  • এই কম ঘন বাতাস উচ্চচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবাহিত হয়।
  • পথে, এই বাতাস উষ্ণ সমুদ্রের জল থেকে আর্দ্রতা শোষণ করে এবং ঘনীভূত হয়।
  • এই ঘনীভূত জল বাষ্প বৃষ্টিপাতের আকারে পতিত হয়।

সাইক্লোন সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলি সাধারণত উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। তাই, সাইক্লোনগুলি সাধারণত উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে ঘটে।

উষ্ণ সমুদ্রের উপরে বাতাসের তাপমাত্রা কমপক্ষে 26 ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে, বাতাস কম ঘন হয়। কম ঘন বাতাস বেশি চাপযুক্ত হয় এবং উচ্চচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবাহিত হয়। পথে, এই বাতাস উষ্ণ সমুদ্রের জল থেকে আর্দ্রতা শোষণ করে এবং ঘনীভূত হয়। এই ঘনীভূত জল বাষ্প বৃষ্টিপাতের আকারে পতিত হয়।

বৃষ্টিপাতের ফলে বাতাসের তাপমাত্রা কমে যায় এবং বাতাস আরও ঘন হয়। ফলে, বাতাসের চাপও কমে যায়। এই কম চাপযুক্ত বাতাস আবার উচ্চচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবাহিত হয়। এই প্রক্রিয়াটি একটি চক্রাকারে চলতে থাকে এবং একটি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের চাপ থাকে খুব কম, প্রায় 900 হেক্টোপাস্কাল। এই কম চাপের কারণে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাস প্রবল বেগে ঘুরতে থাকে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের চারপাশে ঘূর্ণায়মান বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় 117 কিলোমিটার বা তার বেশি হলে তাকে ক্যাটাগরি 3 বা তার বেশি মাত্রার ঘূর্ণিঝড় বলা হয়।

সাইক্লোনগুলি সাধারণত উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে ঘটে, যেখানে বাতাসের তাপমাত্রা কমপক্ষে 26 ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। সাইক্লোনগুলি সাধারণত উপকূলীয় অঞ্চলে ঘটে, যেখানে উচ্চচাপ কেন্দ্র থাকে।

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সাইক্লোনকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। উদাহরণস্বরূপ, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে এবং প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব অংশে সাইক্লোনকে হারিকেন বলা হয়। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে এবং ভারত মহাসাগরে সাইক্লোনকে টাইফুন বলা হয়। আর ভারতীয় উপমহাদেশে সাইক্লোনকে ঘূর্ণিঝড় বলা হয়।

সাইক্লোন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির কারণ হতে পারে। তাই, সাইক্লোনের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

সাইক্লোনের ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে রয়েছে:

  • প্রবল বাতাসের কারণে গাছপালা, স্থাপনা এবং অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  • প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা, জলাবদ্ধতা এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে।
  • জলোচ্ছ্বাস

সাইক্লোন কি সহজ কথায়

সহজ কথায়, সাইক্লোন হলো এক ধরনের ঘূর্ণিঝড়, যা উষ্ণ সমুদ্রের উপরে ঘটে। সাইক্লোনের কেন্দ্রে বাতাসের চাপ থাকে খুব কম, আর এর চারপাশে ঘূর্ণায়মান বাতাসের গতিবেগ থাকে খুব বেশি। সাইক্লোন প্রবল বাতাস, বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসের কারণ হতে পারে।

সাইক্লোনের কারণ হলো উষ্ণ সমুদ্রের উপরে বাতাসের তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার পার্থক্য। উষ্ণ সমুদ্রের উপরে বাতাস কম ঘন থাকে এবং তাই এটি বেশি চাপযুক্ত থাকে। এই কম ঘন বাতাস উচ্চচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবাহিত হয়। পথে, এই বাতাস উষ্ণ সমুদ্রের জল থেকে আর্দ্রতা শোষণ করে এবং ঘনীভূত হয়। এই ঘনীভূত জল বাষ্প বৃষ্টিপাতের আকারে পতিত হয়।

সাইক্লোন সাধারণত উষ্ণ সমুদ্রের উপরে ঘটে, যেখানে বাতাসের তাপমাত্রা কমপক্ষে 26 ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। সাইক্লোনগুলি সাধারণত উপকূলীয় অঞ্চলে ঘটে, যেখানে উচ্চচাপ কেন্দ্র থাকে।

সাইক্লোনের সময় নিম্নলিখিত করণীয়গুলি অবলম্বন করা উচিত:

  • আবহাওয়ার পূর্বাভাস মনোযোগ সহকারে শুনুন।
  • ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা বা সতর্কতা জারি করা হলে, নিরাপদ স্থানে চলে যান।
  • আপনার বাড়ি বা অন্যান্য সম্পত্তি সুরক্ষিত করুন।
  • জরুরি সরবরাহের একটি ত্রাণ প্যাক প্রস্তুত করুন।

সাইক্লোনের সময় নিম্নলিখিত কাজগুলি করা উচিত নয়:

  • ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকবেন না।
  • উঁচু ভবন বা গাছের নীচে আশ্রয় নেবেন না।
  • খোলা জায়গায় থাকবেন না।

সাইক্লোনের সময় নিরাপদ থাকার জন্য উপরের করণীয়গুলি অবলম্বন করা জরুরি।

সাইক্লোন কোথায় সৃষ্টি হয়

সাইক্লোন সাধারণত উষ্ণ সমুদ্রের উপরে ঘটে, যেখানে বাতাসের তাপমাত্রা কমপক্ষে 26 ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। সাইক্লোনগুলি সাধারণত উপকূলীয় অঞ্চলে ঘটে, যেখানে উচ্চচাপ কেন্দ্র থাকে।

সাইক্লোন সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলি হলো:

  • উষ্ণ সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমপক্ষে 26 ডিগ্রি সেলসিয়াস।
  • উচ্চতার সাথে বাতাসের তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য হ্রাস।
  • উপকূলীয় অঞ্চলে একটি উচ্চচাপ কেন্দ্র।

সাইক্লোন সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:

  • উষ্ণ সমুদ্রের উপরে বাতাস কম ঘন থাকে এবং তাই এটি বেশি চাপযুক্ত থাকে।
  • এই কম ঘন বাতাস উচ্চচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবাহিত হয়।
  • পথে, এই বাতাস উষ্ণ সমুদ্রের জল থেকে আর্দ্রতা শোষণ করে এবং ঘনীভূত হয়।
  • এই ঘনীভূত জল বাষ্প বৃষ্টিপাতের আকারে পতিত হয়।

সাইক্লোন সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলি সাধারণত উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। তাই, সাইক্লোনগুলি সাধারণত উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে ঘটে।

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সাইক্লোনকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। উদাহরণস্বরূপ, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে এবং প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব অংশে সাইক্লোনকে হারিকেন বলা হয়। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে এবং ভারত মহাসাগরে সাইক্লোনকে টাইফুন বলা হয়। আর ভারতীয় উপমহাদেশে সাইক্লোনকে ঘূর্ণিঝড় বলা হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *