জমির হিসাব বের করার নিয়ম

জমির হিসাব বের করার জন্য প্রথমে জমিখণ্ডের দৈর্ঘ্য ও প্রস্ত কত ফুট তা বের করতে হবে। জমির চার দিকের মাপ সমান না হলে দৈর্ঘ্য ও প্রস্তের গড় বের করতে হবে। এরপর দৈর্ঘ্য ও প্রস্তের গুণফলকে ৪৩৫.৬ দ্বারা ভাগ করতে হবে। এতে যা বের হবে, সেটাই জমির পরিমাণ (শতাংশে)।

জমির পরিমাণ বের করার সূত্রঃ

পরিমাণ = (দৈর্ঘ্য x প্রস্থ)/৪৩৫.৬

উদাহরণস্বরূপ, ধরুন একটি জমির দৈর্ঘ্য ৫০ ফুট এবং প্রস্ত ৪০ ফুট। তাহলে, জমির পরিমাণ হবেঃ

পরিমাণ = (৫০ x ৪০)/৪৩৫.৬
পরিমাণ = 44.3৩

অর্থাৎ, এই জমির পরিমাণ ৪৪.৩৩ শতাংশ।

আবার, ধরুন একটি জমির দৈর্ঘ্য ও প্রস্ত উভয়ই ৪০ ফুট। তাহলে, জমির পরিমাণ হবেঃ

পরিমাণ = (৪০ x ৪০)/৪৩৫.৬
পরিমাণ = 32.৩৪

অর্থাৎ, এই জমির পরিমাণ ৩২.৩৪ শতাংশ।

জমির হিসাব বের করার জন্য ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও, অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে জমির হিসাব করা যায়।

চেইন শিকল পদ্ধতি

জমি মাপার জন্য চেইন শিকল পদ্ধতি একটি পুরনো এবং সহজ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের শিকলের সাহায্যে জমির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ পরিমাপ করা হয়। এরপর দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের গুণফলের মাধ্যমে জমির ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা হয়।

চেইন শিকল পদ্ধতিতে ব্যবহৃত শিকলের নাম গান্টার শিকল। এই শিকলের দৈর্ঘ্য ২২ গজ বা ৬৬ ফুট। শিকলের একক হল লিংক। এক শিকল বা এক চেইনে ১০০ টি লিংক থাকে। প্রতিটি লিংকের দৈর্ঘ্য ৭.৯ ইঞ্চি।

চেইন শিকল পদ্ধতিতে জমি মাপার জন্য নিম্নলিখিত সরঞ্জামগুলির প্রয়োজন হয়:

  • গান্টার শিকল
  • লোহার ছিপ
  • বার্নিশ
  • মার্কার

জমি মাপার নিয়ম:

১। প্রথমে জমির একটি কোণে গান্টার শিকলের একটি লিংক বসিয়ে দিন। ২। শিকলের অপর প্রান্তটি ধরে জমির দৈর্ঘ্য পরিমাপ করুন। ৩। দৈর্ঘ্য পরিমাপ করার সময় প্রতিটি লিংকের শেষে একটি ছিপ দিয়ে চিহ্নিত করুন। ৪। একইভাবে জমির প্রস্থ পরিমাপ করুন। ৫। দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের গুণফলের মাধ্যমে জমির ক্ষেত্রফল নির্ণয় করুন।

উদাহরণস্বরূপ, ধরা যাক একটি জমির দৈর্ঘ্য ৪০ লিংক এবং প্রস্থ ৩০ লিংক। তাহলে জমির ক্ষেত্রফল হবে:

ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য * প্রস্থ = 40 লিংক * 30 লিংক = 1200 বর্গলিংক

১০০০ বর্গলিংক = ১ একর

সুতরাং, উক্ত জমির পরিমাণ হবে ১.২ একর।

চেইন শিকল পদ্ধতিতে জমি মাপার সুবিধা হল:

  • এই পদ্ধতিটি সহজ এবং সাশ্রয়ী।
  • এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে জমির ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা খুব দ্রুত।

তবে এই পদ্ধতির কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেমন:

  • এই পদ্ধতিতে জমির ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা ত্রুটি থাকতে পারে।
  • এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে জমির জটিল আকৃতির ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা কঠিন।

ফিতা পদ্ধতি হল জমি মাপার একটি সাধারণ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একটি টেপ ফিতা বা অন্য কোনও পরিমাপের যন্ত্র ব্যবহার করে জমির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ পরিমাপ করা হয়। এরপর দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের গুণফলের মাধ্যমে জমির ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা হয়।

ফিতা পদ্ধতিতে জমি মাপার জন্য নিম্নলিখিত সরঞ্জামগুলির প্রয়োজন হয়:

  • টেপ ফিতা
  • লোহার ছিপ
  • মার্কার

জমি মাপার নিয়ম:

১। প্রথমে জমির একটি কোণে টেপ ফিতার একটি প্রান্ত ধরে দিন।

২। ফিতার অপর প্রান্তটি ধরে জমির দৈর্ঘ্য পরিমাপ করুন। ৩। দৈর্ঘ্য পরিমাপ করার সময় প্রতিটি ইঞ্চি বা ফুটের শেষে একটি ছিপ দিয়ে চিহ্নিত করুন। ৪। একইভাবে জমির প্রস্থ পরিমাপ করুন। ৫। দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের গুণফলের মাধ্যমে জমির ক্ষেত্রফল নির্ণয় করুন।

উদাহরণস্বরূপ, ধরা যাক একটি জমির দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট এবং প্রস্থ ৫০ ফুট। তাহলে জমির ক্ষেত্রফল হবে:

ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য * প্রস্থ = 100 ফুট * 50 ফুট = 5000 বর্গফুট

সুতরাং, উক্ত জমির পরিমাণ হবে 5000 বর্গফুট।

ফিতা পদ্ধতিতে জমি মাপার সুবিধা হল:

  • এই পদ্ধতিটি সহজ এবং সাশ্রয়ী।
  • এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে জমির ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা খুব দ্রুত।
  • এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে জমির যেকোনো আকৃতির ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা সম্ভব।

তবে এই পদ্ধতির কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেমন:

  • এই পদ্ধতিতে জমি মাপার সময় একটু সময় লাগে।
  • এই পদ্ধতিতে জমি মাপার ক্ষেত্রে কিছুটা ত্রুটি থাকতে পারে।

চেইন শিকল পদ্ধতিতে জমির পরিমাণ নির্ণয়

চেইন শিকল পদ্ধতিতে জমির পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত নিয়মগুলি অনুসরণ করতে হবে:

  1. প্রথমে জমির একটি কোণে গান্টার শিকলের একটি লিংক বসিয়ে দিন।
  2. শিকলের অপর প্রান্তটি ধরে জমির দৈর্ঘ্য পরিমাপ করুন।
  3. দৈর্ঘ্য পরিমাপ করার সময় প্রতিটি লিংকের শেষে একটি ছিপ দিয়ে চিহ্নিত করুন।
  4. একইভাবে জমির প্রস্থ পরিমাপ করুন।
  5. দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের গুণফলের মাধ্যমে জমির ক্ষেত্রফল নির্ণয় করুন।

উদাহরণস্বরূপ, ধরা যাক একটি জমির দৈর্ঘ্য ৪০ লিংক এবং প্রস্থ ৩০ লিংক। তাহলে জমির ক্ষেত্রফল হবে:

ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য * প্রস্থ
= 40 লিংক * 30 লিংক
= 1200 বর্গলিংক

১০০০ বর্গলিংক = ১ একর

সুতরাং, উক্ত জমির পরিমাণ হবে ১.২ একর।

চেইন শিকল পদ্ধতিতে জমির পরিমাণ নির্ণয়ের কিছু টিপস:

  • জমির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ পরিমাপ করার সময় খুব সতর্কতার সাথে পরিমাপ করুন।
  • দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের পরিমাপের ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকলে ক্ষেত্রফলের হিসাবেও ত্রুটি থাকবে।
  • জমির আকৃতি যদি জটিল হয় তবে জমির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ পরিমাপ করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।

চেইন শিকল পদ্ধতিতে জমির পরিমাণ নির্ণয় একটি সহজ এবং সাশ্রয়ী পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে জমির ক্ষেত্রফল খুব দ্রুত নির্ণয় করা যায়। তবে এই পদ্ধতিতে জমির জটিল আকৃতির ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা কঠিন।

ফিতা পদ্ধতিতে জমির পরিমাণ করার পদ্ধতি

ফিতা পদ্ধতিতে জমির পরিমাণ করার জন্য নিম্নলিখিত নিয়মগুলি অনুসরণ করতে হবে:

  1. প্রথমে জমির একটি কোণে টেপ ফিতার একটি প্রান্ত ধরে দিন।

  2. ফিতার অপর প্রান্তটি ধরে জমির দৈর্ঘ্য পরিমাপ করুন।

  3. দৈর্ঘ্য পরিমাপ করার সময় প্রতিটি ইঞ্চি বা ফুটের শেষে একটি ছিপ দিয়ে চিহ্নিত করুন।

  4. একইভাবে জমির প্রস্থ পরিমাপ করুন।

  5. দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের গুণফলের মাধ্যমে জমির ক্ষেত্রফল নির্ণয় করুন।

উদাহরণস্বরূপ, ধরা যাক একটি জমির দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট এবং প্রস্থ ৫০ ফুট। তাহলে জমির ক্ষেত্রফল হবে:

ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য * প্রস্থ
= 100 ফুট * 50 ফুট
= 5000 বর্গফুট

সুতরাং, উক্ত জমির পরিমাণ হবে 5000 বর্গফুট।

ফিতা পদ্ধতিতে জমির পরিমাণ নির্ণয়ের কিছু টিপস:

  • জমির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ পরিমাপ করার সময় খুব সতর্কতার সাথে পরিমাপ করুন।
  • দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের পরিমাপের ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকলে ক্ষেত্রফলের হিসাবেও ত্রুটি থাকবে।
  • জমির আকৃতি যদি জটিল হয় তবে জমির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ পরিমাপ করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।

ফিতা পদ্ধতিতে জমির পরিমাণ নির্ণয় একটি সহজ এবং সাশ্রয়ী পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে জমির যেকোনো আকৃতির ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা সম্ভব। তবে এই পদ্ধতিতে জমি মাপার সময় একটু সময় লাগে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *