বিড়াল সম্পর্কে তথ্য

বিড়াল (Felis catus) একটি গার্হস্থ্য প্রজাতি বা ছোট মাংসাশী স্তন্যপায়ী প্রাণী। এটি ফেলিডা পরিবারের একমাত্র গৃহপালিত প্রজাতি এবং প্রায়শই এটি পরিবারের বন্য সদস্যদের থেকে পৃথক করার জন্য গার্হস্থ্য বিড়াল হিসেবে পরিচিত।

একটি বিড়াল, হয় ঘরের বিড়াল, খামারের বিড়াল বা ফেরাল বিড়াল হতে পারে; বনবিড়াল অবাধে মানুষের যোগাযোগ পরিসীমা এড়িয়ে চলে। গার্হস্থ্য বিড়ালদের সাহচর্য এবং তীক্ষ্ণদন্তী প্রাণী শিকারের দক্ষতার জন্য মানুষ এদেরকে মূল্যবান বলে মনে করে।

বিভিন্ন বিড়াল নিবন্ধনকারীর মাধ্যমে এযাবৎ বিড়ালের স্বীকৃত ষাটের অধিক স্বীকৃত বিড়ালের প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায়।

বিড়ালের বৈশিষ্ট্য

  • বিড়ালের শরীরের দৈর্ঘ্য প্রায় 25 থেকে 35 ইঞ্চি হয়।
  • বিড়ালের ওজন প্রায় 4 থেকে 5 কেজি হয়।
  • বিড়ালের লেজ প্রায় 12 থেকে 16 ইঞ্চি লম্বা হয়।
  • বিড়ালের পশম সাধারণত নরম এবং মসৃণ হয়।
  • বিড়ালের চোখ সাধারণত বড় এবং বৃত্তাকার হয়।
  • বিড়ালের কান সাধারণত বড় এবং তীক্ষ্ণ হয়।
  • বিড়ালের থাবাগুলি সাধারণত ছোট এবং নখরযুক্ত হয়।

বিড়ালের আচরণ

  • বিড়ালরা স্বাধীন এবং একাকী প্রাণী।
  • বিড়ালরা খেলতে এবং ঘুমাতে পছন্দ করে।
  • বিড়ালরা তীক্ষ্ণদন্তী প্রাণী শিকারে পারদর্শী।
  • বিড়ালরা তাদের শরীর পরিষ্কার রাখার জন্য সময় ব্যয় করে।

বিড়ালের স্বাস্থ্য

  • বিড়ালদের সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে রয়েছে:
    • ক্যাট ফ্লু
    • কৃমি
    • কুষ্ঠ
    • ফেলিন এইডস
    • ফেলিন টিউমার
  • বিড়ালদের নিয়মিত টিকাকরণ এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।

বিড়ালের ইতিহাস

  • বিড়ালগুলি প্রায় 9,000 বছর আগে প্রাচ্যের কৃষকরা সর্বপ্রথম পোষ মানাতে সক্ষম হয়েছিল।
  • বিড়ালগুলিকে ইঁদুর এবং অন্যান্য ক্ষতিকর প্রাণী দমনে ব্যবহার করা হত।
  • বিড়ালগুলি আজ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পোষা প্রাণীদের মধ্যে একটি।

বিড়ালের প্রকারভেদ

  • বিড়ালের প্রায় ষাটের অধিক স্বীকৃত প্রজাতি রয়েছে।
  • কিছু জনপ্রিয় বিড়ালের প্রজাতির মধ্যে রয়েছে:
    • পারসিয়ান বিড়াল
    • সিমিয়ান বিড়াল
    • মেইন কুইন বিড়াল
    • স্কটিশ ফোল্ড বিড়াল
    • অ্যাবিসিনিয়ান বিড়াল

বিড়ালের গুরুত্ব

  • বিড়ালগুলি মানুষের জন্য বিভিন্ন উপায়ে গুরুত্বপূর্ণ।
  • বিড়ালগুলি ইঁদুর এবং অন্যান্য ক্ষতিকর প্রাণী দমনে সাহায্য করে।
  • বিড়ালগুলি মানুষের জন্য সঙ্গ এবং আনন্দ প্রদান করে।
  • বিড়ালগুলি গবেষণায় ব্যবহৃত হয়।

লেজ নাড়ানো

বিড়ালের লেজ বিভিন্ন কারণে নাড়তে পারে। বিড়ালের লেজ নাড়ার কয়েকটি সাধারণ কারণ হল:

  • খুশি বা উত্তেজনা: একটি বিড়াল যখন খুশি বা উত্তেজিত থাকে তখন এটি তার লেজকে উঁচু করে নাড়াতে পারে। এটি প্রায়শই খেলার সময় বা একটি পরিচিত ব্যক্তিকে দেখে ঘটে।

  • উৎসাহ বা মনোযোগ আকর্ষণ: একটি বিড়াল যখন কিছুতে আগ্রহী হয় বা আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করতে চায় তখন এটি তার লেজকে নাড়াতে পারে। এটি প্রায়শই খাবার বা খেলার জন্য ঘটে।

  • অস্বস্তি বা ভয়: একটি বিড়াল যখন অস্বস্তি বা ভয় বোধ করে তখন এটি তার লেজকে নিচে বা পাশে নাড়াতে পারে। এটি প্রায়শই নতুন পরিস্থিতি বা ব্যক্তিদের সাথে দেখা করার সময় ঘটে।

  • আধিপত্য বা কর্তৃত্ব প্রদর্শন: একটি বিড়াল যখন আধিপত্য বা কর্তৃত্ব প্রদর্শন করতে চায় তখন এটি তার লেজকে উপরে এবং পিছনে নাড়াতে পারে। এটি প্রায়শই অন্য বিড়াল বা মানুষের সাথে যোগাযোগ করার সময় ঘটে।

  • সামাজিক যোগাযোগ: একটি বিড়াল যখন অন্য বিড়াল বা মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে চায় তখন এটি তার লেজকে নাড়াতে পারে। এটি প্রায়শই খেলার সময় বা একটি পরিচিত ব্যক্তিকে দেখে ঘটে।

বিড়ালের লেজ নাড়ার অর্থ নির্ধারণ করা কখনও কখনও কঠিন হতে পারে। বিড়ালের অন্যান্য আচরণ বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ, যেমন তার কান, চোখ এবং মুখের অভিব্যক্তি।

গড়গড় শব্দ করা

বিড়াল বিভিন্ন কারণে গড়গড় শব্দ করতে পারে। বিড়ালের গড়গড় শব্দের কয়েকটি সাধারণ কারণ হল:

  • খুশি বা সন্তুষ্টি: একটি বিড়াল যখন খুশি বা সন্তুষ্ট থাকে তখন এটি গড়গড় শব্দ করতে পারে। এটি প্রায়শই খাবার বা খেলার পরে ঘটে।

  • আগ্রহ বা মনোযোগ আকর্ষণ: একটি বিড়াল যখন কিছুতে আগ্রহী হয় বা আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করতে চায় তখন এটি গড়গড় শব্দ করতে পারে। এটি প্রায়শই খেলনা বা খাবারের জন্য ঘটে।

  • আত্মবিশ্বাস বা আধিপত্য: একটি বিড়াল যখন আত্মবিশ্বাসী বা আধিপত্য প্রদর্শন করতে চায় তখন এটি গড়গড় শব্দ করতে পারে। এটি প্রায়শই অন্য বিড়াল বা মানুষের সাথে যোগাযোগ করার সময় ঘটে।

  • ধমক দেওয়া বা ভয় দেখানো: একটি বিড়াল যখন ভয় দেখাতে বা অন্য বিড়ালকে দূরে রাখতে চায় তখন এটি গড়গড় শব্দ করতে পারে। এটি প্রায়শই নতুন পরিস্থিতি বা ব্যক্তিদের সাথে দেখা করার সময় ঘটে।

  • ব্যথা বা অসুস্থতা: একটি বিড়াল যখন ব্যথা বা অসুস্থতা অনুভব করে তখন এটি গড়গড় শব্দ করতে পারে। এটি একটি সমস্যার লক্ষণ হতে পারে, তাই আপনার বিড়ালের গড়গড় শব্দের কারণ নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

বিড়ালের গড়গড় শব্দের অর্থ নির্ধারণ করা কখনও কখনও কঠিন হতে পারে। বিড়ালের অন্যান্য আচরণ বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ, যেমন তার কান, চোখ এবং মুখের অভিব্যক্তি।

আপনি যদি আপনার বিড়ালের গড়গড় শব্দের অর্থ নিয়ে উদ্বিগ্ন হন তবে আপনার পশুচিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

মা বিড়ালদের কিছু আচরণ

মা বিড়ালদের কিছু সাধারণ আচরণের মধ্যে রয়েছে:

  • বাচ্চাদের যত্ন নেওয়া: মা বিড়ালরা তাদের বাচ্চাদের যত্ন নেওয়ার জন্য অনেক সময় এবং প্রচেষ্টা ব্যয় করে। তারা তাদের বাচ্চাদের খাওয়ায়, পরিষ্কার করে এবং তাদের নিরাপদ রাখে।

  • বাচ্চাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া: মা বিড়ালরা তাদের বাচ্চাদের শিকার, খেলার এবং বিড়ালদের সামাজিক আচরণের মতো প্রাথমিক দক্ষতা শিখতে সাহায্য করে।

  • বাচ্চাদের রক্ষা করা: মা বিড়ালরা তাদের বাচ্চাদের বিপদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত থাকে। তারা তাদের বাচ্চাদের নতুন বা পরিচিত প্রাণীদের কাছ থেকে দূরে রাখতে পারে এবং তাদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।

  • বাচ্চাদের ছাড় দেওয়া: মা বিড়ালরা তাদের বাচ্চাদের স্বাধীন হতে শিখতে সাহায্য করে। তারা তাদের বাচ্চাদের একা খেলতে এবং ঘুরে বেড়াতে দেয়, এবং তারা তাদের বাচ্চাদের নিজের খাবার এবং জল খুঁজে বের করতে সাহায্য করে।

মা বিড়ালদের আচরণ তাদের বাচ্চাদের বয়স এবং বিকাশের পর্যায়ের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যখন বাচ্চা বিড়ালগুলি ছোট হয়, তখন মা বিড়াল তাদের ঘন ঘন দুধ খাওয়ায় এবং তাদের ঘুমিয়ে থাকার সময় তাদের গরম রাখতে সাহায্য করে। বয়স্ক বাচ্চা বিড়ালগুলি যখন আরও স্বাধীন হয়ে ওঠে, তখন মা বিড়াল তাদের থেকে দূরে থাকতে শুরু করে।

মা বিড়ালদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা তাদের বাচ্চাদের বেড়ে ওঠা এবং বিকাশ সম্পর্কে অনেক কিছু শেখাতে পারে।

ঘুরঘুর করতে থাকলে

বিড়ালদের ঘুরঘুর করতে থাকলে এর বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • উৎসাহ বা উত্তেজনা: একটি বিড়াল যখন খুশি বা উত্তেজিত থাকে তখন এটি ঘুরে বেড়াতে পারে। এটি প্রায়শই খেলার সময় বা একটি পরিচিত ব্যক্তিকে দেখে ঘটে।

  • অস্বস্তি বা ভয়: একটি বিড়াল যখন অস্বস্তি বা ভয় বোধ করে তখন এটি ঘুরে বেড়াতে পারে। এটি প্রায়শই নতুন পরিস্থিতি বা ব্যক্তিদের সাথে দেখা করার সময় ঘটে।

  • আধিপত্য বা কর্তৃত্ব প্রদর্শন: একটি বিড়াল যখন আধিপত্য বা কর্তৃত্ব প্রদর্শন করতে চায় তখন এটি ঘুরে বেড়াতে পারে। এটি প্রায়শই অন্য বিড়াল বা মানুষের সাথে যোগাযোগ করার সময় ঘটে।

  • সামাজিক যোগাযোগ: একটি বিড়াল যখন অন্য বিড়াল বা মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে চায় তখন এটি ঘুরে বেড়াতে পারে। এটি প্রায়শই খেলার সময় বা একটি পরিচিত ব্যক্তিকে দেখে ঘটে।

  • খাদ্য বা খেলার জন্য: একটি বিড়াল যখন খাবার বা খেলার জন্য অস্থির থাকে তখন এটি ঘুরে বেড়াতে পারে।

  • স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ: একটি বিড়াল যখন ব্যথা, অসুস্থতা বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা অনুভব করে তখন এটি ঘুরে বেড়াতে পারে। এটি একটি সমস্যার লক্ষণ হতে পারে, তাই আপনার বিড়ালের ঘুরঘুর করার কারণ নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার বিড়াল যদি ঘুরে বেড়াতে থাকে, তাহলে তার অন্যান্য আচরণ পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি লক্ষ্য করেন যে আপনার বিড়াল উদ্বিগ্ন, ভয় পেয়েছে বা অসুস্থ দেখাচ্ছে, তাহলে আপনার পশুচিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

এখানে কিছু জিনিস রয়েছে যা আপনি আপনার বিড়ালের ঘুরে বেড়ানোর আচরণ কমাতে করতে পারেন:

  • আপনার বিড়ালের শারীরিক এবং মানসিক চাহিদা পূরণ করুন। আপনার বিড়ালকে পর্যাপ্ত খাবার, জল, বিশ্রাম এবং খেলার সুযোগ দিন।

  • আপনার বিড়ালের পরিবেশকে সমৃদ্ধ করুন। আপনার বিড়ালের জন্য উচ্চতা, গোপন জায়গা এবং খেলনাগুলির একটি বৈচিত্র্য প্রদান করুন।

  • আপনার বিড়ালকে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। আপনার বিড়ালকে খেলতে বা বাইরে বের করে আনুন।

  • আপনার বিড়ালের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনার বিড়ালকে আদর করুন, কথা বলুন এবং তার সাথে সময় কাটান।

এই পদক্ষেপগুলি আপনার বিড়ালের ঘুরে বেড়ানোর আচরণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *