বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে লেখক হয়ে উঠেছিলেন

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায় কি ছিলেন?

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় মূলত একজন লেখক ছিলেন। তিনি বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত উপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, ভ্রমণকাহিনীকার ও শিশুসাহিত্যিক। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাসগুলি হল পথের পাঁচালী, অপরাজিত, আরণ্যক, চাঁদের পাহাড়, আদর্শ হিন্দু হোটেল, ইছামতী ও অশনি সংকেত।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেশাগত জীবনের শুরুতে তিনি শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি হুগলি জেলার বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভাগলপুরে শিক্ষকতা করতে যান। সেখানে তিনি ভাগলপুর সার্কেলের সহকারী ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে তিনি গোপালনগর স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং আমৃত্যু সেখানেই কর্মরত ছিলেন।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেশাগত জীবনের পাশাপাশি তিনি সমাজসেবায়ও যুক্ত ছিলেন। তিনি ভাগলপুরে ‘সাহিত্য ও সমাজ সেবা সমিতি’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই সমিতি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল।

সুতরাং, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেশা ছিল শিক্ষকতা। তবে তিনি একজন লেখক হিসেবেই অধিক পরিচিত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *