সুখ কবিতা – এ কবিতা কে লিখেছেন?

“সুখ” কবিতাটি লিখেছেন কামিনী রায়। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি বিখ্যাত কবিতা। এই কবিতায় কবি সুখের সংজ্ঞা ও তা অর্জনের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।

কবিতাটিতে কবি বলেন, সুখ হলো একটি আপেক্ষিক বিষয়। প্রত্যেকের কাছে সুখের সংজ্ঞা ভিন্ন। কারও কাছে সুখ হলো অর্থ-সম্পদ, কারও কাছে সুখ হলো ভালোবাসা, কারও কাছে সুখ হলো মানসিক শান্তি।

কবি বলেন, সুখ অর্জনের জন্য প্রথমেই আমাদের আত্মকেন্দ্রিকতা ত্যাগ করতে হবে। আমাদের অন্যের জন্য কাজ করতে হবে, অন্যের সুখে আনন্দিত হতে হবে। তাহলেই আমরা সত্যিকারের সুখ খুঁজে পাব।

কবিতাটিতে কবি সুখের গুরুত্ব সম্পর্কেও আলোচনা করেছেন। কবি বলেন, সুখই মানুষের জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তোলে। সুখের মাধ্যমেই আমরা জীবনের সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে পারি।

“সুখ” কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কবিতা। এই কবিতাটি সুখের সংজ্ঞা, তা অর্জনের উপায় ও গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের একটি ধারণা দেয়।

সুখ

কায়কোবাদ

সুখ সুখ বলে তুমি, কেন করো হা হুতা্‌শ,

সুখ ত পাবেনা কোথা,মিথ্যা সে সুখের আশ!

পথিক মরুভূ মাঝে খুঁজিয়া বেড়ায় জল,

জল ত মিলে এনা সেথা, মরীচিকা করে ছল!

তেমতি এ বিশ্বর মাঝে, সুখ পাবেনা তু্মি,

মরীচিকা প্রায়  সুখ,- এবিশ্ব যে মরুভূমি!

ধন রত্ন সুখেরস্বর্গ কিছুতেই সুখ নাই,

চুপ কর উপকার, তারি মাঝে খোঁজ ভাই!

আমিত্ব কে বলিবিয়া স্বার্থ ত্যাগ করো যদি,

পরের   হিতের জন্য ভাব যদি নিরবধি!

লিচু ভুলে গিয়ে ভাবীরে পরের কথা, 

মুছলে পরের অশ্রু- ঘুচালে পরের  ব্যথা!

আপনাকে বিলাইয়া দিন দুঃখীদের মাঝে,

বিদুরিলে সকালে বিকালে মাঝে!

তবে প্রাইভেসি আত্মার ভিতরে তুমি,

যা রুপিবে- তাই পাবে সংসার যে কর্মভূমি।

‘সুখ’ কবিতার সৃজনশীলে সহায়ক জ্ঞান

“সুখ” কবিতাটি কামিনী রায়ের একটি বিখ্যাত কবিতা। এই কবিতায় কবি সুখের সংজ্ঞা ও তা অর্জনের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।

কবিতাটির সৃজনশীলে সহায়ক জ্ঞান

  • সুখের সংজ্ঞা: সুখ হলো একটি আবেগ বা অনুভূতি যা মানুষের মনে আনন্দ, শান্তি ও তৃপ্তি প্রদান করে। সুখ হলো মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

  • সুখের উপায়: সুখ অর্জনের অনেক উপায় রয়েছে। এর মধ্যে কিছু উপায় হলো:

    • আত্মকেন্দ্রিকতা পরিহার করা: সুখ অর্জনের জন্য প্রথমেই আমাদের আত্মকেন্দ্রিকতা পরিহার করতে হবে। আমাদের অন্যের জন্য কাজ করতে হবে, অন্যের সুখে আনন্দিত হতে হবে।
    • নিজের কাজকে ভালোবাসা: আমাদের নিজের কাজকে ভালোবাসতে হবে। তাহলেই আমরা কাজে আনন্দ পাব এবং সুখী হব।
    • নিজের জীবনকে সহজ করে নেওয়া: জীবনকে সহজ করে নিতে হবে। ছোট ছোট আনন্দকে উপভোগ করতে হবে।
    • ধর্ম ও দর্শনে আশ্রয় নেওয়া: ধর্ম ও দর্শনে আশ্রয় নিয়ে আমরা সুখ খুঁজে পেতে পারি।
  • সুখের গুরুত্ব: সুখের গুরুত্ব অপরিসীম। সুখই মানুষের জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তোলে। সুখের মাধ্যমেই আমরা জীবনের সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে পারি।

কবিতাটি থেকে শিক্ষণীয় বিষয়াবলী

  • আত্মকেন্দ্রিকতা পরিহার করা: সুখ অর্জনের জন্য প্রথমেই আমাদের আত্মকেন্দ্রিকতা পরিহার করতে হবে। আমাদের অন্যের জন্য কাজ করতে হবে, অন্যের সুখে আনন্দিত হতে হবে।
  • নিজের কাজকে ভালোবাসা: আমাদের নিজের কাজকে ভালোবাসতে হবে। তাহলেই আমরা কাজে আনন্দ পাব এবং সুখী হব।
  • নিজের জীবনকে সহজ করে নেওয়া: জীবনকে সহজ করে নিতে হবে। ছোট ছোট আনন্দকে উপভোগ করতে হবে।
  • ধর্ম ও দর্শনে আশ্রয় নেওয়া: ধর্ম ও দর্শনে আশ্রয় নিয়ে আমরা সুখ খুঁজে পেতে পারি।

কবিতাটি থেকে সৃজনশীলতা বৃদ্ধির উপায়

  • কবিতাটি মনোযোগ দিয়ে পড়া ও বুঝা: কবিতাটি মনোযোগ দিয়ে পড়া ও বুঝলে আমরা সুখের সংজ্ঞা, তা অর্জনের উপায় ও গুরুত্ব সম্পর্কে একটি ধারণা পাব।
  • কবিতাটি থেকে শিক্ষণীয় বিষয়াবলী চিহ্নিত করা: কবিতাটি থেকে শিক্ষণীয় বিষয়াবলী চিহ্নিত করলে আমরা সুখ অর্জনের জন্য কী কী করতে হবে তা জানতে পারব।
  • কবিতাটি থেকে অনুপ্রাণিত হওয়া: কবিতাটি থেকে অনুপ্রাণিত হলে আমরা সুখ অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারব।

কবিতাটি থেকে সৃজনশীল লেখালেখির বিষয়

  • সুখের সংজ্ঞা: সুখের সংজ্ঞা কী? সুখের বিভিন্ন ধরন কী কী?
  • সুখ অর্জনের উপায়: সুখ অর্জনের জন্য কী কী করতে হবে?
  • সুখের গুরুত্ব: সুখের গুরুত্ব কী? সুখের মাধ্যমে কী কী লাভ করা যায়?

“সুখ” কবিতাটি থেকে আমরা সুখের সংজ্ঞা, তা অর্জনের উপায় ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারি। এই কবিতাটি আমাদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *