একুশে টিভি

একুশে টিভি ঠিকানা

একুশে টেলিভিশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকার কাওরান বাজারে অবস্থিত। ঠিকানা হল:

একুশে টেলিভিশন লিমিটেড জাহাঙ্গীর টাওয়ার, ১০ কাজী নজরুল ইসলাম সরণি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৬

এছাড়াও, একুশে টেলিভিশনের একটি অফিস চট্টগ্রামে অবস্থিত। ঠিকানা হল:

একুশে টেলিভিশন উত্তরা আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম

একুশে টেলিভিশনের টেলিফোন নম্বর হল ০২-৮১৮৯৯১০।

একুশে টিভির মালিক

একুশে টিভির মালিক এস আলম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। ২০১৫ সালে এস আলম গ্রুপ অর্থ ঋণ আদালতের নিলামে একুশে টিভির মালিকানা কিনে নেয়। এর আগে একুশে টিভির মালিক ছিলেন এ এস মাহমুদ।

এস আলম গ্রুপ হল বাংলাদেশের একটি বহুজাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এটি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, কৃষি, ঔষধ, রিয়েল এস্টেট, এবং পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা করে থাকে।

একুশে টিভি বন্ধ

একুশে টিভি বন্ধ হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। টিভিটির মালিক এস আলম গ্রুপ একুশে টিভি বন্ধের কারণ হিসেবে আর্থিক সংকটের কথা উল্লেখ করেছে।

একুশে টিভি ২০০৭ সালে চালু হয়। এটি ছিল বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। টিভিটি বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান প্রচার করত, যার মধ্যে রয়েছে খবর, বিনোদন, খেলাধুলা, এবং শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান।

একুশে টিভি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের টেলিভিশন জগতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হারিয়ে গেছে।

একুশের কণ্ঠ রোধের সেই কালো দিন

একুশের কণ্ঠ রোধের সেই কালো দিন

২০২৩ সালের ১ জুলাই, একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। এই দিনটি বাংলাদেশের মিডিয়া জগতের জন্য একটি কালো দিন।

একুশে টিভি ছিল বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। এটি ২০০৭ সালে চালু হয়। টিভিটি বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান প্রচার করত, যার মধ্যে রয়েছে খবর, বিনোদন, খেলাধুলা, এবং শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান।

একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে এর মালিক এস আলম গ্রুপ আর্থিক সংকটের কথা উল্লেখ করেছে। তবে, অনেকে মনে করেন যে, একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে সরকারের চাপের কারণে।

একুশে টিভি ছিল একটি মুক্তচিন্তার চ্যানেল। এটি সরকারের সমালোচনা করত এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে কথা বলত। একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় ক্ষতি হয়েছে।

একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ হয়। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করে।

একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশের মিডিয়া জগতের জন্য একটি ধাক্কা। এটি প্রমাণ করেছে যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনও পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধের কারণ

একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার কারণ নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি কারণ হল:

  • আর্থিক সংকট: এস আলম গ্রুপ একুশে টিভির মালিকানা নেওয়ার পর থেকে চ্যানেলটির আর্থিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে চ্যানেলটির লোকসান হয় ৫০ কোটি টাকা।
  • সরকারের চাপ: একুশে টিভি সরকারের সমালোচনা করত এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে কথা বলত। এটি সরকারের চোখে চোখ রেখে চলত। অনেকে মনে করেন যে, একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে সরকারের চাপের কারণে।
  • ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতা: একুশে টিভি ছিল বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। এর জনপ্রিয়তায় অন্য চ্যানেলগুলো ক্ষুব্ধ ছিল। অনেকে মনে করেন যে, একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে।

একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধের প্রভাব

একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার প্রভাব বাংলাদেশের মিডিয়া জগতের জন্য ব্যাপক। এর মধ্যে কয়েকটি প্রভাব হল:

  • গণতন্ত্রের পক্ষে একটি বড় ক্ষতি: একুশে টিভি ছিল একটি মুক্তচিন্তার চ্যানেল। এটি সরকারের সমালোচনা করত এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে কথা বলত। একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় ক্ষতি হয়েছে।
  • মিডিয়া জগতের স্বাধীনতার হুমকি: একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশের মিডিয়া জগতের স্বাধীনতার উপর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এটি প্রমাণ করেছে যে, বাংলাদেশের মিডিয়া এখনও পুরোপুরি স্বাধীন নয়।
  • গণমাধ্যমের ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা: একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। এটি প্রমাণ করেছে যে, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনও সুরক্ষিত নয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *