প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

বর্তমানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে যদিও কোনো সরকারি অনুমোদন নেই। বিভিন্ন নার্সারি, কিন্টারগার্ডেন, কোচিং সেন্টার ও  টিটোরিয়াল এবং ফ্রী ক্যাডেট কলেজ এর কোড চালু আছে।

মসজিদ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যেমন —  মক্তব ফোরকানিয়া এবং কোরানিয়া মাদ্রাসা ও ধর্ম শিক্ষার সাথে সাথে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হয় । এছাড়াও মাদ্রাসা ও কি রাতিয়া মাদ্রাসায় ধর্ম শিক্ষা দেয়া হয়।

 

নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা  করা হলো।

  • প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা
  • প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা লক্ষ্য
  • প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

 

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা লক্ষ্য

আনন্দময় শিশুবান্ধব পরিবেশ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বয়সী শিশুদের (৫+ বছর) বয়স ও সার্থক অনুযায়ী শারীরিক মানসিক বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষাকে তিনটি স্তরে বিভক্ত করা যায়।

প্রাথমিক মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা। এর সাথে আছে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা  এবং টোল  বা সংস্কৃত এবং পালি শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষার মাধ্যম থাকবে বাংলা।

প্রাথমিক শিক্ষা মেয়া ৫ বছর। ৬ বছর বয়সে প্রাথমিক শিক্ষা আরম্ভ করা হয়।

প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হয়। এ সকল মাদ্রাসায় ৫ বছর মেয়াদ কোর্স চালু আছে।

 

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা উদ্দেশ্য

 

১। গণশিক্ষা ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা

প্রতিবেদনে দেশে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণাকে স্বীকৃতি দিয়ে বলা হয়েছে গণশিক্ষা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রসারের জন্য যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা পূরণ করার জন্য আইনগত কাঠামো প্রবর্তন করা প্রয়োজন।

 

২। মাধ্যমিক শিক্ষাঃ 

মাধ্যমিক স্তরে তিনটি স্তরে বিভক্ত করা হয়েছে। নিম্ন মাধ্যমিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক। শিক্ষার মেয়াদ হল ৩+ ২+২+= ৭বছর .১১- ১৭বছর বয়স্ক ছাত্র-ছাত্রীগণ এ গ্রুপের আওতায়।

এ শিক্ষা বিস্তা রের জন্য বাংলাদেসশেনিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি স্বীকৃতি প্রাপ্ত বেসরকারি এবং স্বীকৃতি হীন মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহ নিয়োজিত আছে।

তদুপরি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান প্রাইভেট মাধ্যমিক এসএসসি পরীক্ষার পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সকল কলেজ নাটক নাটক পরীক্ষা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ  করে। 

নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা শেষে শিক্ষার্থীগণ টেকনিকেল ও ভোকেশনাল কোর্স গ্রহণ করতে পারে।

তখন তারা ভোকেশনাল ট্রেড স্কুল অধ্যায়ন করে । মাধ্যমিক শেষ করে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্সের পলিটেকনিক  ইনস্টিটিউট করতে পারে।

 

৩। বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা

বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য কারিগরি শিক্ষা বোর্ড স্থাপন করা হবে।

জাতীয় দক্ষতা মানে এক দুই ও তিন পর্যায়ের  দক্ষ  জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্য ও মাধ্যমিক স্তরের বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে।

বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১ঃ১৫। কারিগরি শিক্ষা সংক্রান্ত কমিটির এ সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে দেশে দক্ষ গণশক্তি  বৃদ্ধি পাবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।

 

৪। হাতে কলমে শিক্ষা

 ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে কলমে শিক্ষাদান,গবেষণ, প্রশিক্ষণ দান করার জন্য প্রতিষ্ঠান  সংলগ্ন   খামার/  মাঠ থাকতে হবে।

 

৫। মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা

 শিক্ষাকে সার্বিকভাবে শিক্ষার্থীর কাছে ভালো ভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার ব্যবস্থা  কথা বলা হয়েছে।

 

৬। বৃত্তিমূলক শিক্ষা

মেধাবী ও গরীব শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি অনুদান ও সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা সুপারিশ করা হয়েছে।

 

৭। চিকিৎসা শিক্ষা

 কৃষি ও  প্রকৌশলের মত চিকিৎসা একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পেশাগত শিক্ষা দিনের-পর-দিন অব্যহতভাবে এর মান কমে যাচ্ছে। 

 

৮। অভ্যাস গঠন

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো শিশুদের মধ্যে সু অভ্যাস গঠনে সাহায্য করা । শৈশব কাল থেকেই সু অভ্যাস গড়ে উঠলে ভবিষ্যৎ জীবনে তার চরিত্র গঠনে সহায়ক হবে। 

 

৯। সামাজিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা 

দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করতে হয়। এতে যাতে শিশু বেলা থেকেই শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা আগ্রহ হয়ে ওঠে সেজন্যে এবার প্রথমবারের মত.

৩-৫ বছর প্রাক প্রাথমিক সুপারি করে কমিশন। এই পর্যায়ে শিশুকেখেলাধুলা হাসি-আনন্দে মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করানো হবে।

 

১০। প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ

গুরুপের প্রতিটি কমিশনে প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ৮ বছর ব্যাপী হয়েছে অর্থাৎ প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত।

কিন্তু মিত্রা কমিশন বর্তমান কাঠামো অপরিবর্তিত রাখা কথা বলেছেন কারণ এতে সীমিত সামর্থ্য ও সুযোগের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *