ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবো

বর্তমানে অনলাইনে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ফ্রিল্যান্সিং একটি সঠিক ও বিশ্বস্ত উপায় হয়ে দাড়িয়েছে। এবং যদি আপনিও নিজের বাড়িতে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শেখার কথা ভাবছেন ও ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার দাড় করিয়ে নিতে চাইছেন।

তবে আপনার মাথায় ও কিছু প্রশ্ন ঘুরাঘুরি করছে, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এবং কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো?

অনেকেই মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং জিনিষ টা অতান্ত সহজ একটা বিষয়, যা অল্প কিছুদিনের মাঝে নিজের করে নেওয়া যেতে পারে। তবে আপনি জেনে রাখুন ফ্রিল্যান্সিং বিষয় টি অততাও সহজ নয়।

যদি আপনি সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করে ফ্রিল্যান্সিং শেখার কাজ করতে পারেন। তবে অবসশই ফ্রিল্যান্সিং থেকে ভাল কিছু পেতে পারবেন।

আরো পড়ুন: অনলাইনে আয় করার ৫০ টি সহজ উপায়

এবং আমাদের এই আর্টিকেলর কাজ হচ্ছে এটাই, আপনি কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে বা শুরু করতে পারেন তা সম্পর্কে বিস্তারিত গাইডলাইন প্রদান করা।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবো (How to start freelancing in bangla)

ও আমরা চেষ্টা করব ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্পর্কিত সকল বিষয় বস্তু অতান্ত সহজ ভাবে তুলে ধরার জন্য, যাতে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শেখার বিষয়ে ও কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন তা সম্পর্কে বিস্তর একটা ধারনা পেতে পারেন। এই আর্টিকেলে আমরা যা কিছু শিখতে চলেছি,

  • ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?
  • কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব?
  • কেন আপনার Freelancing শেখা জরুরী?
  • বর্তমানে সেরা কিছু Freelancing কাজের দক্ষতা/ (skills)
  • কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে Freelancing এর প্রশিক্ষণ নিবো?
  • Freelancing এর জন্য কিভাবে কাজ পেতে হবে?

এর বাইরেও ফ্রিল্যান্সিং শেখার আরও বেসিক কিছু বিষয় রয়েছে যা আমরা এই আর্টিকেলর মাধ্যমে প্রকাশ করব।

তবে চলুন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন এবং কিভাবে শুরু করবেন তা সম্পর্কে সহজ ভাবে জেনে আসি।

ফ্রিল্যান্সিং বলতে কি বুঝায়? (What is freelancing)

ফ্রিল্যান্সিং অর্থাৎ নিজের মদ্ধে থাকা জ্ঞান (skills) দ্বারা ইন্টারনেট ব্যাবহারের মাধ্যমে অপরের কাজ করে দেওয়া এবং অবশ্যই উক্ত কাজ ইন্টারনেট এর সাথে জড়িত থাকতে হবে।

যেমন, আপনি একজন Web developer। এখন আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে গিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে রেখেছেন এবং উক্ত মার্কেটপ্লেস গুলোতে প্রচুর রকম ক্লাইন্ট রয়েছে।

এবং তার মধ্যে থেকে কিছু ক্লাইন্ট আপনাকে দিয়ে তার নিজের ওয়েবসাইট অথবা তার ডিজিটাল কম্পানির জন্য ওয়েবসাইট ডেভেলপ করিয়ে নিতে চায়।

ও উক্ত ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার কাজ আপনাকে করিয়ে দেওয়ার জন্য ওই মার্কেটপ্লেস এর ক্লাইন্ট যোগাযোগ করবে।

এখন আপনি তার কাজ করে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি তার কাজের উপর নির্ভর করে আপনাকে পেমেন্ট করবে। ব্যাস এই সম্পূর্ণ প্রসেস টাকেই আসলে বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং।

তবে, এটার মানে এমন কিছু নয় ফ্রিল্যান্সিং বলতে শুধু web development কেই বুঝায়। আমি এখানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট টেনে এনেছি শুধু মাত্র আপনাকে উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার সুবিধার্থে।

আমি আবারও বলছি, Freelancing বলতে বুঝানো হয়, যে ব্যক্তি বা লোক ফ্রিল্যান্সিং করবার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে উক্ত ব্যক্তিকে freelancer বলা হয়ে থাকে।

যদি আরও সহজ ভাবে বলতে চাই তবে তা এমন হবে, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করা অর্থাৎ কোন ব্যক্তি বা কম্পানির জন্য নির্দিষ্ট কিছু চুক্তিতে কাজ করে দেওয়া।

আশা করি, Freelancing বলতে ঠিক কি বুঝানো হয় তা আপনি বুজতে পেরেছেন।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো (ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ)

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সব থেকে সহজ এবং একই সাথে বিশাল জ্ঞান ভাণ্ডার হচ্ছে “Google search” এবং “Youtube”. এই দুটি Platform সঠিক ভাবে ব্যাবহার দ্বারা আপনি অনেক সহজেই Freelancing এর যাবতীয় সকল কিছু শিখে নিতে পারবেন।

তবে আপনার এখন মনে হতে পারে, Freelancing শেখা কি আসলেই এতো বেশি সহজ যা আপনি গুগল সার্চ থেকে বা ইউটিউব দ্বারা শিখে নিতে পারবো।

তবে আমি আপনার এই প্রস্নের সহজ ও সুন্দর ভাবে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি।

Google search এর মাধ্যমে (ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ)

দেখুন আপনি এটা জেনেই থাকবেন গুগল বর্তমান সময়ের সব থেকে বড় এবং জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন। এমন কোন তথ্য (information) নেই যা আপনি গুগল সার্চ করে পেতে পারবেন নাহ।

এবং গুগল দেখানো এই তথ্য গুলো কিন্তু তারা নিজেদের মন মত তৈরি করেন না। এই তথ্য গুলো সারা বিশ্বের সকল পারদর্শী লোকেরা তাদের ওয়েবসাইট অথবা ভিডিও এর মাধ্যমে প্রকাশ করে।

এবং গুগল তার উপর নির্ভর করে, উক্ত information গুলোকে আরও সহজ ভাবে সাজিয়ে উপস্থাপন করে। ফলে আপনি যে বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন Google আপনাকে ঠিক তা সম্পর্কেই information দিয়ে থাকে।

আমি আরও কিছুটা সহজ করে বলি, গুগল সার্চ দ্বারা Freelancing শিখতে বলা হচ্ছে তার মানে এটা নয়, আপনাকে সরাসরি গুগল থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে বলা হচ্ছে।

আপনি শুধু মাত্র গুগল কে একটি মাধ্যম হিসাবে ব্যাবহার করে সারা বিশ্বের যত (Blogger)” এবং (freelancer)” রয়েছে তাদের থেকে আপনি যে নির্দিষ্ট টপিক সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক, তা জেনে নিতে পারবেন, এবং এখানে আপনার এবং আপনি উক্ত যে বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক তার সাথে যোগাযোগ স্থাপনের কাজ করবে “গুগল সার্চ” সিম্পল।

Youtube এর মাধ্যমে (ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ)

একই সাথে আপনি ইউটিউব Platform ব্যাবহার দ্বারা নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের সকল information গুলো অনেক সহজেই পেতে পারবেন।

মনে রাখবেন youtube এখন এতো বেশি জনপ্রিয় একটি মাধ্যম, যাকে এক কথায় “ভিডিও সার্চ ইঞ্জিন” ও বলা চলে। Freelancing সম্পর্কিত এমন কিছু তথ্য নেই, যা আপনি youtube থেকে জেনে নিতে পারবেন না।

ইউটিউব ব্যাবহার করে আপনি অনেক বড়, বড় “professional freelancer” দের থেকে শিখতে পারবেন এবং তাদের ফ্রিল্যান্সিং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারবেন, এবং তার থেকে আপনি নিজের (skills) বৃদ্ধি করিয়ে নিতে পারবেন।

আপনাকে একটা বিষয় সর্বদা মনে রাখতে হবে, কোন কিছু শিখতে চাইলে তা আপনি কিভাবে নিজের মাঝে স্থাপন করবেন এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করছে।

অতএব কখনই এটা মনে করবেন না, আপনি Google search & youtube দ্বারা ফ্রিল্যান্সিং করা শিখতে পারবেন না।

আমি বাক্তিগত ভাবে মনে করি, যদি আপনি গুগল এবং ইউটিউব এর মাধ্যমে নিজের Freelancing skills develop করিয়ে নিতে পারেন তবে তা হবে অতান্ত ভাল।

কেননা তখন, আপনার মাঝে যে (skills) চলে আসবে তা সম্পূর্ণ ভাবেই আপনার নিজের আয়ত্তে থাকবে। কারন, আপনি নিজে, নিজে অনেক ভুল করার থেকেই নিজের মধ্যে এই অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে পেরেছেন।

ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ (প্রথম ধাপ)

উপরে আপনি জেনেছেন কিভাবে গুগল এবং ইউটিউব দ্বারা Freelancing শিখতে পারবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং শেখার পূর্বে আপনাকে আরও কিছু সম্পর্কে ঠিক ভাবে জানতে হবে।

আমরা ধরে নেওয়ার চেষ্টা করি, আপনি শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং কি তা সম্পর্কেই জানেন। এর বাইরে কিভাবে Freelancing করতে হয় বা করবেন এসব সম্পর্কে আপনার ধারনা একদমই নেই।

এমন পর্যায়ে আপনাকে যা কিছু জানতে হবে,

ফ্রিল্যান্সিং এর (Basic knowledge)

আপনাকে একদম শুরুতে বেসিক কিছু বিষয়ের সাথে ঠিক ভাবে পরিচিত হতে হবে। এবং তারপর ধিরে, ধিরে লেভেল আপ করতে হবে।

অনেকেই রয়েছেন তারা Freelancing করতে ইচ্ছুক, তবে কিছু সময় তারা ঠিক ভাবে বুজতে পারেন না কিভাবে কি করা উচিৎ। এমন অবস্থায় আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং কিছু (basic knowledge) সম্পর্কে জানতে হবে।

  • Freelancing কি তা সম্পর্কে ঠিক ভাবে জানতে হবে।
  • কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হয় তা জানতে হবে।
  • মোটামুটি কম্পিউটার এক্সপার্ট হতে হবে।
  • সঠিক ভাবে ইন্টারনেট ব্যাবহার জানতে হবে।
  • নিজেকে একজন freelancer করার জন্য আগ্রহী করে তুলতে হবে।
  • এবং নিয়মিত প্রচুর সময় দিয়ে রিসার্চ করতে হবে।

ব্যাস, Freelancing প্রশিক্ষণ এর প্রথম পর্যায়ে যদি উপরে লিস্ট করা এই বিষয় গুলোতে ঠিক ভাবে মনোনিবেশ করতে পারেন। তবে কিছুদিনের মাঝেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্রথম ধাপ সঠিক ভাবে উত্তরণ করতে পারবেন।

নিস বাছাই করুন

ফ্রিল্যান্সিং এর বাসিক বিষয় সম্পর্কে যখন আপনি ঠিক ভাবে অবগত হয়ে জাবেন, এখন আপনাকে এটা ঠিক করতে হবে আপনি কি বিষয়/টপিক নিয়ে Freelancing শিখতে আগ্রহী।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং প্রচুর কাজ রয়েছে, তার মাঝে থেকে আপনাকে নিজের পছন্দের একই সাথে উক্ত কাজ অর্থাৎ আপনি যে বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাইছেন তার ভবিষ্যৎ কতটা স্বচ্ছ এটাও বুজতে হবে।

কেবল, একটি (Topic) নিয়ে কাজ শিখলেন ও নিজের (skill develop) করলেন। এবং ভবিষ্যতে উক্ত কাজ বা টপিকের চাহিদা যদি না থাকে। তখন আপনার পূর্বে শেখা কাজ দিয়ে লেভেল আপ করতে পারবেন না।

অতএব, নিস বাছাই করবার সময় কিছুটা সময় দিয়ে ঠিক ভাবে বুঝুন ও (analytics) করুন যে, ভবিষ্যতে আপনি যে নিশ নির্বাচন করছেন।

তার ডিমান্ড বর্তমান সময়ের থেকে ভবিষ্যতে বেশি থাকবে।

সেরা কিছু লাভজনক কাজ হচ্ছে,

  • Digital marketing
  • Content writing
  • Graphic designer
  • Social media manager
  • Business manager
  • Web development
  • Search engine optimization
  • Animation

এবং এই কাজ গুলোর বাইরেও আরও অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি শিখতে ও করতে পারেন।

আমি আবারও বলছি, ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ শিখার পূর্বে সঠিক ভাবে নিস বাছাই করে নিতে হবে, অন্যথায় হতে পারে Freelancing করে ক্যারিয়ার দাড় করানো কিছুটা জটিল হয়ে উঠবে।

ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ (শেষ ধাপ)

এই পর্যায়ে এসে আপনার কাছে Freelancing সম্পর্কে মোটামুটি একটা সুপস্ট ধারনা থাকবে। এবং কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এ ধিরে, ধিরে লেভেল আপ করা যেতে পারে তা কিছুটা করে বুজতে শুরু করবেন। তবে, এখানেই কিন্তু আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য নিজের বেস্ট দিতে হবে।

এই পর্যায়ে এসে আপনি ফ্রিল্যান্সিং কি, কিভাবে করতে হয়, এবং Freelancing এর বাসিক বিষয় গুলো সম্পর্কে ঠিক ভাবে অবগত হয়ে গিয়েছেন।

একই সাথে আপনি একটি নিস নির্বাচন করেছেন, এবং উক্ত নিস অনুযায়ী আপনি “Google search” এবং “youtube” থেকে রিসার্চ করে নিজের skill develop করে নিচ্ছেন। তবে, আপনি এখনও ঠিক ভাবে ফ্রিল্যান্সিং করবার জন্য প্রস্তুত হন নি। এখন আপনাকে আরও বেশ কিছু বিষয়ের উপর নজর দিতে হবে, তা সম্পর্কে এখন আমরা জানতে চলেছি।

ফ্রিল্যান্সিং এর (Intermediate knowledge)

আপনাকে একটা বিষয় সব সময়ের জন্য মনে রাখতে হবে, ইন্টারনেটে নতুন বলে কিছু হয়। আপনি আমি যাই দেখি বা শিখি তা তথাকথিত পুরাতন।

ফলে, মনে রাখতে হবে আপনি যে কাজ টি করছেন বা শিখছেন তা সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিস্তারিত করে সব জেনে নেওয়ার এবং তা নিজের আয়ত্তে করে নেওয়ার।

এখন আসি, Freelancing শেখার এই পর্যায়ে এসে যা কিছু সম্পর্কে জানতে হবে।

  • কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে ?
  • কিভাবে Freelancing অ্যাকাউন্ট verify করতে হবে ?
  • সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট (marketplace) কি ?
  • Freelancing marketplace গুলোতে কাজ করবার নিয়ম কি?
  • নিজের কাজ আরও সমৃদ্ধ করার কৌশল
  • নিয়মিত নিজের স্কিল লেভেল আপ করার চেষ্টা

ব্যাস, এই পর্যায়ে এসে আপনাকে উপরে লিস্ট করা যে বিষয় গুলো সম্পর্কে বলা হয়েছে। উক্ত বিষয় গুলোতে ঠিক ভাবে মনোনিবেশ করুন, এবং কিছুটা সময় নিয়ে, ধিরে ধিরে আরও বেশি করে জ্ঞান অর্জন করতে থাকুন।

মনে রাখবেন, Freelancing কোন সহজ বিষয় না। যা আপনাকে এখানে একদম শিখিয়ে দেওয়া যাবে। আমরা শুধুমাত্র আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য সঠিক পথ প্রদর্শক বা গাইডলাইন দেওয়ার কাজ করতে পারি।

এবং আপনি উক্ত (Guideline) অনুসরণ করে Freelancing শেখার কাজ করলে অবশ্যই ভাল (skills develop) করে নিতে পারবেন।

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন ?

এই পর্যায়ে এসে আপনার কাছে নির্দিষ্ট একটি কাজের (skills) থাকবে, বা বলা চলে আপনি যে কোন একটি কাজ শিখে নেওয়ার কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন বা শিখে ফেলেছেন। এখন আপনার কাছে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের সব থেকে বড় Challenge এসে উপস্থিত হবে।

জথা, কিভাবে Freelancing ক্যারিয়ার শুরু করব? এই প্রস্নের উত্তর আমরা যতটা সহজ ভাবে সম্ভব তেমন ভাবে উপস্থাপন করবার চেষ্টা করছি। Freelancing শুরু করবার জন্য, আপনাকে কিছু বিষয় ধাপে, ধাপে অনুসরণ করে যেতে হবে।

  • প্রথমে আপনাকে একটি বিষয় বা কাজের (skills) অর্জন করতে হবে
  • আপনি যে Freelancing মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে আগ্রহী সেখানে নিজের জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
  • আপনার কাজ, আপনি কতটা সময়ের মধ্যে করতে পারবেন তা নির্ধারণ করতে হবে।
  • আপনার করা কাজের পারিশ্রমিক কত নিবেন তা নির্ধারণ করতে হবে।

এবং সর্বদা চেষ্টা করতে হবে, আপনি যে ব্যক্তি বা কম্পানির সাথে চুক্তি করে তাদের কাজ করে দিচ্ছেন। তারা যেন আপনার করে দেওয়া কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

একটি কাজের Skills অর্জন করতে হবে।

আমরা উপরে আপনার সাথে শেয়ার করেছিলাম, আপনাকে একটি নিস নির্বাচন করতে হবে। এবং উক্ত নিস অনুযায়ী আপনাকে তা শিখতে হবে, এবং এখানে একটি কাজের skills অর্জন করতে হবে, এটার মানে হচ্ছে।

আপনাকে যে নিস নির্বাচন করতে বলা হয়েছিল, এবং তার থেকে আপনি যে নিস বা কাজ নির্বাচন করেছিলেন, উক্ত কাজের উপর আপনাকে ভাল অভিজ্ঞ হয়ে উঠতে হবে।

যাতে করে, আপনার কাঙ্খিত নিস বা কাজের কোথাও কি রয়েছে, অথবা ছোট, ছোট যে সকল বিষয় গুলোও রয়েছে তা সম্পর্কেও আপনার জ্ঞান থাকতে হবে।

কেবল তখনই বলা চলে, আপনার কাছে একটি নিস বা কাজের (professional skills) রয়েছে।

এবং এটাও বুঝে নিতে হবে, যখন নিজে থেকে বুজতে শুরু করবেন আপনার কাছে কোন একটি কাঙ্খিত কাজের যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে।

অর্থাৎ এখন আপনি Freelancing ক্যারিয়ার শুরু করবার জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছেন।

Freelancing মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানতে হবে

অনেকের কাছে ঠিক ভাবে কাজের skill থাকা সর্তেও কিছু সময় তাদের বসে থাকতে হয়, কাজের জন্য।

আসলে বর্তমান সময়ে এতো বেশি Freelancer রয়েছে যে, আপনি ঠিক ভাবে এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো সম্পর্কে জ্ঞান না রাখলে আপনাকেও কাজ পেতে কিছুটা বেগ পেতে হতে পারে।

অতএব, ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবার পূর্বে আপনাকে বর্তমান সময়ের “Freelancing marketplace” গুলো সম্পর্কে বিস্তর রিসার্চ করে নিতে হবে।

এবং আপনাকে নির্বাচন করতে হবে, আপনি যে কাজের skills অর্জন করেছেন তা অনুযায়ী কোন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সেরা হবে।

সেরা কিছু Freelancing marketplace,

  • Fiverr.com
  • Upwork.com
  • Guru.com
  • Freelancer.com
  • Peopleperhour.com

আপনি নিজের skills অনুযায়ী উপরে বর্ণিত এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে গিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারেন।

এবং এই Freelancing marketplace গুলো দ্বারা কাজ পেতে পারবেন ও আপনার করে দেওয়া কাজের বিনিময়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সহজ ভাবে কাজ করতে অভিজ্ঞ হতে হবে

যখন আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে গিয়ে নিজের প্রোফাইল তৈরি করবেন, এবং উক্ত Freelancing marketplace থেকে কোন ব্যক্তি বা কোম্পানির সাথে চুক্তির মাধ্যমে আপনাকে কাজ দেওয়া হবে।

উক্ত কাজ যথা, সময়ে করে দেওয়ার প্রচেষ্টা করতে হবে। এবং এভাবেই নিজের কাজ করবার অভিজ্ঞতার লেভেল আপ করে যেতে হবে।

কেননা, কেবল তখনই যে ব্যক্তি আপনাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছি তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করবেন। যখন তিনি বুজতে পারবেন আপনি তার দেওয়া কাজ সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ করে দিয়েছেন, এবং তা সে ঠিক যেভাবে বলেছিল তেমন ভাবেই।

আপনি কত সময়ের মধ্য কাজ সম্পূর্ণ করবেন তা নির্বাচন করতে হবে

আপনাকে যখন কোন ব্যক্তি বা কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তাদের কাজ করবেন। তখন তাদের থেকে আপনাকে অবশ্যই সময় দেওয়া হবে, অথবা আপনি তাদের সময় দিতে পারেন।

যেমন, আমি এই ওয়েবসাইটের এই specific element গুলো আপনি যেমন চাইছেন তা ২৪ ঘণ্টার মাঝে সম্পূর্ণ করে দিতে পারবো, বা এমন কিছু।

সর্বদা নিজের কাজ করবার মাঝে professional ব্যাপার টি বজায় রাখতে হবে। কেবল তখনই যে ব্যক্তি বা কম্পানি আপনাকে দিয়ে তাদের কাজ করাচ্ছে তারা আপনার প্রতি বিশ্বত অনুভব করবে।

নিজের কাজের একটি পারিশ্রমিক নির্ধারণ করতে হবে

আপনি যে বিষয়ে কাজ করবার skills অর্জন করেছেন, উক্ত কাজ টি আপনি অন্যর হয়ে চুক্তিবদ্ধ থেকে যখন তা সম্পূর্ণ করবেন।

তখন উক্ত কাজ সম্পূর্ণ করে দেওয়ার জন্য, আপনি কতটা পারিশ্রমিক নিবেন তা আপনাকে শুরুতে নির্ধারণ করে নিতে হবে।

তার ফলে, আপনিও আপনার কাজের প্রতি confident থাকবেন, এবং যে আপনাকে দিয়ে কাঙ্খিত কাজ টি করিয়ে নিতে চান, তিনিও তার বাজেট অনুযায়ী আপনাকে দিয়ে কাজ টী সম্পূর্ণ করিয়ে নিতে পারবে।

দক্ষতাকে সবসময় উন্নত করুন (Level up your skills)

আপনাকে সর্বদা একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, Freelancing হচ্ছে এমন এক পেশা এই পেশায় আপনাকে প্রচুর সময় দিতে হবে। নিয়মিত নতুন কিছু শিখে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আপনি যত বেশি শিখতে থাকবেন, তততাই এই ফ্রিল্যান্সিং profession লেভেল আপ করে নিতে পারবেন।

আপনাকে নিয়মিত প্রচুর রিসার্চ করতে থাকতে হবে, এবং আপনার প্রফেশনে আসা নতুন বিষয় গুলো সম্বদ্ধে আপনার বিস্তর জ্ঞান রাখতে হবে। কেবল, তখনই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের একটি স্বচ্ছ ক্যারিয়ার তৈরি হতে দেখতে পাবেন।

উপসংহার

আমরা সম্পূর্ণ আর্টিকেলে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন, এবং অতঃপর Freelancing শুরু করবেন তা নিয়ে আপনার সাথে আলচনা করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি, যতখানি সহজ ভাবে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত সকল বিষয় বুঝিয়ে উপস্থাপন করা যায় তার সব তুকুই আমরা দিয়েছি। তবে অবশ্যই, আপনার কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে ফ্রিল্যান্সিং শিখার বিষয়ে।

এই Freelancing প্ল্যাটফর্ম টা অনেক বড়, এবং এখানে কাজেও কমতি নেই। যদি নিজের মধ্যে বিশেষ কোন কাজে সম্পর্কে যথেষ্ট skills আপনি শিখে নিতে পারেন বা তৈরি করতে পারেন।

তখন এই প্ল্যাটফর্ম ব্যাবহার দ্বারা, নিজের ক্যারিয়ার তৈরি অনেক সহজেই করতে পারবেন। তবে, আমি আবারও বলছি কোন কিছুই অতান্ত সহজ নয়, আপনাকে নিয়মিত প্রচুর জ্ঞান অর্জন করতে হবে ও আপনার কাজের উপরে skills আরও সমৃদ্ধশালী করে তুলতে হবে।

ও এভাবেই নিয়মিত আপনার ফ্রিল্যান্সিং স্কিল লেভেল আপ করিয়ে যেতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *