চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

চুল পড়ার কারণ এবং চুল পড়া বন্ধ করার উপায় কি কি

চুল আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে। ভাল এবং ঘন চুল একজন ব্যক্তিকে আকর্ষণীয় এবং খুব সুন্দর করে তোলে। সেই সঙ্গে চুলের কোনো সমস্যা হলে আমরা খুব বিরক্ত হই। চুলের সমস্যাগুলোর মধ্যে চুল পড়া সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক সমস্য। শুধু নারীরাই নয় পুরুষরাও এই ধরনের সমস্যায় পড়েন। পুরুষদের ক্ষেত্রে, সমস্যা বাড়ে যখন তাদের চুল গজানো বন্ধ হয়ে যায় বা চুলের বৃদ্ধি ধীর হতে শুরু করে।

বর্তমান সময়ে খারাপ ডায়েট এবং মানসিক চাপের কারণে অল্প বয়সেই চুল পড়া শুরু হয়। চুল বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে প্রায় 100 থেকে 150 টি চুল পড়া স্বাভাবিক, তবে আপনার যদি এর বেশি চুল পড়ে তবে এটি উদ্বেগের বিষয় হতে পারে। 

অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যার কারণে মানুষ অল্প বয়সেই টাকের শিকার হয়। চুল পড়ার এই সমস্যা সহজেই সমাধন করা যায়। তবে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানার আগে চুল পড়ার কারণ সম্পর্কে জানা জরুরি। তো চলুন জেনে নেই এমন কিছু কারণ যার কারণে আপনার চুল পড়ে যাচ্ছে।

অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ

 চুল পড়ার কারণ

আজকাল চুল পড়ার সমস্যা খুবই সাধারণ, প্রতি তিন জন মানুষের মধ্যে প্রায় একজন মানুষ এই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন। এই চুল পড়া সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের তেল, শ্যাম্পু থেকে শুরু করে সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এর তেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না কারণ আমরা চুল পড়ার কারণগুলোর সঠিক কারণগুলি সম্পর্কে জানিনা।

চুল পড়ার বিভিন্ন কারণ হতে পারে এটি কখোন বংশগত কারণেও হতে পারে বা কখনও কখনও আপনার অভ্যন্তরীণ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যাও চুল পড়ার কারণ হতে পারে, যা খুঁজে বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমরা আপনাকে চুল পড়ার কিছু কমন কারণ সম্পর্কে বলব, যেগুলো যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে আপনি একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।

1. হরমোনের পরিবর্তন (Hormonal Changes)

বয়ঃসন্ধি এবং বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে চুল পড়া শুরু হতে পারে। থাইরয়েড এবং প্রজনন হরমোন চুলের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের ভারসাম্যহীনতা চুল পড়ার কারণ হতে পারে।

থাইরয়েড সমস্যার কারণে চুল পড়া পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই সাধারণ। PCOS-এ আক্রান্ত মহিলাদের চুল পড়া শুরু হতে পারে বয়ঃসন্ধিকালে।

2. অপর্যাপ্ত পুষ্টি (Inadequate Nutrition)

খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং পরিশোধিত ময়দা এবং চিনি দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়ার ফলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। অ্যানিমিয়া (আয়রনের ঘাটতির কারণে), বুলিমিয়া, অ্যানোরেক্সিয়া এবং ডায়েট কৈশোর এবং অল্প বয়সে চুল পড়ার সাধারণ কারণ।

3. অতিরিক্ত মানসিক চাপ (Excess Stress)

বয়ঃসন্ধিকাল মানুষ শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। এগুলো মানুষের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। শিক্ষা, পারিবারিক বাধ্যবাধকতা, সামাজিক এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং অন্যের চাপ তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে চুল পড়তে পারে।

এছাড়াও কর্মজীবনে ও পারিবারিক জীবনে মানুষ বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপের মধ্যে থাকে যা চুল পড়ার একটি অন্যতম কারণ।

4. ড্রাগ এর ব্যবহার (Medications)

কিশোর বয়সে ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা। অ্যান্টি-একনে ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস ব্যবহার চুলের ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও, হরমোন-নিয়ন্ত্রক ওষুধগুলিও হরমোনগুলিকে ব্যাহত করতে পারে যার ফলে চুল পড়ে।

কিছু ক্ষেত্রে, চুল পড়া অস্থায়ী হতে পারে এবং ওষুধ বন্ধ করার পরে বন্ধ হতে পারে। সমস্যা চলতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

5. অতিরিক্ত স্টাইলিং (Over-Styling)

চুলের স্টাইল করার সরঞ্জামগুলি (ব্লো ড্রায়ার, হেয়ার স্ট্রেইটনার এবং কার্লিং আয়রন) খুব ঘন ঘন ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি এবং ভেঙে যেতে পারে। চুল কালার করা, পার্মিং করা, সোজা করা এবং ঘন ঘন চুল ঝিমঝিম করাও চুল পড়ার কারণ হতে পারে।

6. ট্র্যাকশন অ্যালোপেসিয়া (Traction Alopecia)

অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণে টাক পড়ার সমস্যাকে ট্র্যাকশন অ্যালোপেসিয়া বলে। এটা জোর বা ঘর্ষণের কারণে চুল পড়ার এই সমস্যাটি হয়.

এই টাক এমন লোকেদের মধ্যে দেখা যায় যারা চুল গজানোর পর ম্যান বান, বিনুনি, হেলমেট, স্পোর্টস গিয়ার এবং ওভারহেড ইয়ারফোনের পাশাপাশি উঁচু চুলের স্টাইল বজায় রাখে।

এ ছাড়া যারা দীর্ঘদিন ধরে একই হেয়ারস্টাইল অনুসরণ করেন তাদেরও চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে।

7. ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া (Trichotillomania)

এটি একটি আচরণগত ব্যাধি বা আচরণগত ব্যাধি। এই সমস্যার কারণে, ব্যক্তি তার চুল টানতে শুরু করে। যার কারণে মাথার ত্বকে টাকের দাগ তৈরি হয়। এটি একটি মানসিক ব্যাধি যা প্রধানত মহিলাদের মধ্যে পাওয়া যায়। তবে এর ক্ষেত্রে পুরুষদের মধ্যেও দেখা যায়।

চুল পড়ার অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

1. অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়া (Androgenic Alopecia)

অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়া পুরুষ এবং মহিলাদের উভয়ের মধ্যেই ঘটে। অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়ায় আক্রান্ত পুরুষদের মাথার চুল সামনের দিকে পড়তে শুরু করে। এই চুলগুলো সামনে থেকে পড়ে পেছনের দিকে যায়। যেখানে মহিলাদের মাথার ত্বকে পুরো মাথার চুল পাতলা হয়ে পড়ে এবং পড়তে থাকে।

2. এলোপেশিয়া এরিয়াটা (Alopecia Areata)

এটি একটি অটো ইমিউন ডিজঅর্ডার। এই রোগে, শরীর তার নিজের চুলের গোড়ায় আক্রমণ শুরু করে।

3. চিকিৎসা (Medical Conditions)

মাথার ত্বকের সমস্যা যেমন, 

  • সোরিয়াসিস
  • একজিমা
  • Seborrheic dermatitis
  • ছত্রাক সংক্রমণ

যার কারণে মাথায় টাক পড়া ও চুল পড়ার সমস্যাও হতে পারে। সাধারণত 30 বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের চুল পড়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ এইগুলি। চুল পড়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলি সনাক্ত করা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করতে পারে।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় | সেরা ঘরোয়া পদ্ধতি

চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া পদ্ধতি

চুল পড়ার সমস্যা যদি সময়মতো যত্ন না নেওয়া হয়, তাহলে এই সমস্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। এমনকি অনেকে টাকের শিকারও হতে হয়। আপনিও যদি চুল পড়ার সম্মুখীন হন এবং আপনি কিছু ঘরোয়া প্রতিকার খুঁজে থাকেন, তাহলে এই টিপসগুলি আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এগুলির কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে না এবং চুল পড়ার সমস্যা থেকেও মুক্তি দেবে আশা করি। জেনে নিন এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো কী এবং কীভাবে ব্যবহার করবেন। 

চুল পড়া বন্ধ করতে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অনেক ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আমরা আপনাকে এমন কিছু প্রতিকার বলতে যাচ্ছি, যেগুলি লাভজনক এবং চেষ্টা করা সহজ।

1. আমলা

আমলা চুলের বৃদ্ধি ও সৌন্দর্য বাড়াতে ঐতিহ্যবাহী হেয়ার টনিক হিসেবে কাজ করে। এর ফল থেকে প্রাপ্ত তেল চুলকে মজবুত করে এবং তাদের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।

ব্যবহারের মোড

  • আমলা টুকরো করে কেটে রোদে শুকিয়ে নিন।
  • ভালো করে শুকিয়ে গেলে নারকেল তেলে কিছু টুকরো দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন।
  • এই তেল ঠান্ডা হয়ে গেলে চুলে লাগিয়ে রাখুন।
  • এটি চুল পাকা রোধ করতেও বলা হয়।
  • এছাড়াও রাতে পানিতে আমলার শুকনো টুকরো ভিজিয়ে রাখতে পারেন। পরদিন সকালে চুলের গোড়ায় পানি লাগান। এটি চুলেও পুষ্টি যোগায়।

2. মেথি

শীতকালে মেথি শাক অবশ্যই খেয়ে থাকবেন। এই গাছের বীজ হলুদ এবং বাদামী মিশ্রিত হয়। এগুলো চুল পড়া বন্ধ করতে ব্যবহার করা হয়।

ব্যবহারের মোড

  • এক বা দুই চামচ মেথি দানা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
  • সকালে পিষে চুলের গোড়ায় লাগান।
  • এক ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয়।

3. তেল মালিশ

ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এর ম্যাসাজ বা ম্যাসাজ খুবই জরুরি। আমাদের চুল এবং মাথার ত্বকেও অনুরূপ কিছু প্রয়োজন। তেল দিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করলে শুধু মাথার ত্বকে আর্দ্রতা পাওয়া যায় না, চুলের গোড়াও মজবুত হয়। এতে রক্ত ​​সঞ্চালন ও চুলের বৃদ্ধি বাড়ে। এতে খুশকি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

ব্যবহারের মোড

  • সরিষা, নারকেল এবং জলপাই তেল সাধারণত চুল এবং মাথার ত্বকের ম্যাসেজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • গ্রীষ্মে, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় তেল লাগান এবং নারকেল তেল দিয়ে মালিশকে অগ্রাধিকার দিন।
  • গরমে সরিষা ও অলিভ অয়েল সামান্য গরম করে ব্যবহার করুন।
  • মনে রাখবেন, হালকা হাতে তেল মালিশ করুন। চুল টানবেন না। এটি তাদের ভেঙ্গে ফেলবে।
  • মহিলাদের সপ্তাহে প্রায় দুই দিন মাথায় ম্যাসাজ করা উচিত। পুরুষরা সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন হালকা তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন।

4. পেঁয়াজের রস

একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, মাথার ত্বকে কাঁচা পেঁয়াজের রস ব্যবহার চুলের পুনরাগমনে উপকারী। অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা: চুল পড়া অবস্থায় পেঁয়াজের রসের ব্যবহার উপকারী হতে পারে।

ব্যবহারের মোড

  • পেঁয়াজ খোসা ছাড়ার পর মিক্সারে পিষে নিন।
  • এবার মিশ্রণটি চালুনি দিয়ে আলাদা করে নিন।
  • এই মিশ্রণটি তুলোর সাহায্যে চুলের গোড়ায় লাগান।
  • খুশকির সমস্যা থাকলে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে লাগালে উপকার পাওয়া যাবে।
  • আপনি সপ্তাহে প্রায় দুই দিন এটি চেষ্টা করতে পারেন। বাকি মিশ্রণটি একটি কাচের শিশিতে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।

আশা করি উপরোক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সমুহ আপনি সঠিকভাবে অনুসরণ করলে, খুব সহজেই আপনি আপনার চুল পড়া রোধ করতে পারবেন ইং-শা আল্লাহ্। সবার আগে আপনি অবশ্যই চুল পড়ার কারণগুলি জেনে নিবেন।

চুল পড়া রোধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

1. সঠিক ডায়েট

যেকোন শারীরিক সমস্যার ভালো চিকিৎসার জন্য সঠিক ডায়েট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং চুল পড়ার ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।

  • শাকসবজি এবং সালাদ: আপনার খাদ্যতালিকায় সবুজ শাক-সবজি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সপ্তাহে তিন দিনের বেশি খাবারে সালাদ যোগ করুন।
  • আজওয়াইন এবং তুলসি: একই সাথে, আজওয়াইন এবং তুলসিকে খাবারের একটি অংশ করুন। তুলসী চা পান করতে পারেন। এই দুটি জিনিসই আপনার পেটের জন্য উপকারী, যা আপনার স্বাস্থ্যকর চুলের সাথেও সম্পর্কিত।
  • প্রোটিন: খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। ডিম, মাছ ও মুরগি থেকে পাবেন। আপনি যদি নিরামিষভোজী হন, তাহলে চিনাবাদাম, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, লেবু এবং সবুজ মটর ব্যবহার বাড়ান।
  • ভিটামিন: ভালো চুলের বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পালং শাক এবং মিষ্টি আলু এর দুর্দান্ত উত্স। এগুলো সবজি হিসেবে খেতে পারেন। চিকিৎসকদের মতে, ভিটামিন এ, বি, সি, ডি আয়রন এবং জিঙ্ক চুলের ভালো বৃদ্ধি ও মজবুত করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পর আপনি মাল্টিভিটামিন ক্যাপসুল খেয়ে তাদের ঘাটতি পূরণ করতে পারেন।

2. সকালের হালকা রোদ

সকালে হালকা গরম রোদে কিছুক্ষণ বসুন। চুল ভেজা থাকলে আঁচড়াবেন না, সকালের রোদে শুকিয়ে নিন। এটি চুলে ভিটামিন ডি দেবে।

3. চিকিৎসা এড়িয়ে চলুন

মেশিনে চুল কুঁচকানো বা সোজা করা ছোট করুন বা বন্ধ করুন। এ কারণে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ভাঙতে শুরু করে। চুলের রঙের মতো যেকোনো ধরনের রাসায়নিক চিকিত্সা এড়িয়ে চলুন। আপনি যদি চুলে রঙ করতে চান তবে এমন রঙ চয়ন করুন যাতে অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা হয় না।

সতর্কতা: এখানে আমরা আপনাকে শুধু কিছু সাধারণ তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করেছি। এটা কোনোভাবেই যোগ্য চিকিৎসকের মতামতের বিকল্প নয়। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। হাবপেজ এই তথ্যের দায় স্বীকার করে না।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন FAQs

প্রশ্ন: আমরা কি জেনেটিক চুল পড়া রোধ করতে পারি?

উত্তর: জেনেটিক কারণে চুল পড়া বন্ধ করা যাবে না। হ্যাঁ, বিভিন্ন প্রতিকার অবলম্বন করে এই প্রক্রিয়াটিকে ধীর করা যেতে পারে। ওষুধ সেবনের মাধ্যমে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমানো যায়, কিন্তু হরমোন বৃদ্ধির কারণে যেসব লোমকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য কিছুই করা যায় না।

প্রশ্ন: প্রতিদিন চুল পড়া কি ঠিক আছে?

উত্তর: চুল পড়া এবং নতুন চুল প্রতিস্থাপন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যদি আপনার মাথায় এক লাখ চুল থাকে এবং তার মধ্যে প্রতিদিন 50 থেকে 100 চুল পড়ে, তাহলে এটাই স্বাভাবিক। হ্যাঁ, যদি চুল বেশি সংখ্যায় এবং খুব দ্রুত পড়ে যায় এবং সেই সংখ্যায় নতুন চুল না আসে, তাহলে আপনার সতর্ক হওয়া উচিত।

প্রশ্ন: তেল লাগালে কি চুল পড়া কমে?

উত্তর: এটা নির্ভর করে চুল পড়ার কারণ কি। চুল পড়ার কারণ যদি মানসিক চাপ, হরমোনের পরিবর্তন বা জেনেটিক্স হয়, তাহলে তেল লাগালে সামান্যই উপকার পাওয়া যাবে। তবে হ্যাঁ, তেলের আর্দ্রতা চুল এবং মাথার ত্বককে স্বাস্থ্যকর করে তোলে। সময় সময় চুলে তেল মালিশ করা প্রয়োজন।

প্রশ্ন: চুল গজানোর পর কি আবার পড়ে যেতে পারে?

উত্তর: অনেক ক্ষেত্রে কয়েক মাস পর এমনটা দেখা গেছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে কিছু সময় পর স্থায়ী টাক পড়ে।

উপসংহার

চুল পড়া যে কারোরই হতে পারে। কখনো এই সমস্যায় পড়লে চুল পড়ার কারণটা আগে জেনে নেওয়া ভালো। বেশির ভাগ মানুষ চুল পড়ার কারণ সম্পর্কে না জেনে তারা সোজা চিকিৎসা নিতে শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত চুল পড়ে যায়। সঠিক বুঝে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিলে চুল পড়া রোধ করা যায়, যদি কারণটি জেনেটিক না হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *